প্রতিবেদন : নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন এবার থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের কাজকর্মের উপর কড়া নজর রাখবেন তিনি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবজোয়ার কর্মসূচি চলার সময় বারবার বলেছেন, পঞ্চায়েতে যাঁরা প্রধান হবেন তাঁরা কাজ না করলে ৬ মাস পর দল তাঁদের সরিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন-এবার পরমাণু যুদ্ধের হুমকি লুকাশেঙ্কোর
প্রতি ৬ মাস অন্তর কাজের রিভিউ হবে। যে কথা, সেই কাজ। বাংলা জুড়ে বোর্ড গঠন সম্পন্ন হওয়ার পর এবার ভাল কাজ করার জন্য অঙ্গীকারপত্রে সই করতে হচ্ছে জয়ীদের। বিশেষত যাঁরা সরকারি পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের কাছ থেকে অঙ্গীকারপত্র নিয়ে রাখছে। সেখানে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম রূপায়ণে আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করব। যদি এর অন্যথা করি তবে পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন আইন—১৯৭৩-এর ২১৩-ক ধারা অনুযায়ী আমাকে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনার জন্য সদস্যপদ বিলোপের জন্যে দলনেতা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার কোনও আপত্তি থাকবে না। বা আমার অভিযোগ আইন-আদালতে গ্রাহ্য হবে না। আমি সজ্ঞানে এই ঘোষণাপত্রে সই করলাম।
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়াকে ভয়, এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী সোরেনকে তলব ইডির
বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বাকি জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই এই ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। তাতে সরকারি পদে যাঁরা বসবেন, সেইসব জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা সই করতে শুরু করেছেন। দলের সাফ কথা, মানুষ আশীর্বাদ করেছেন, বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন তাঁদের পাশে থাকার জন্য। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে তার সুরাহা করার জন্য। দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে তাঁরা সরকারি পদে থেকেও মানুষের কাজ না করলে দল তাঁকে সরাতে দুবার ভাববে না। দু-এক জনের কুকর্মের জন্য গোটা দলের দিকে আঙুল উঠবে তা কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কোনও পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-লাদাখে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ অভিষেকের
মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়নের প্রকল্পের সুবিধা যাতে সকলে পায় তা নজরে রাখতে হবে। প্রতিটি জেলার চরিত্র অনুযায়ী কাজ করবে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি। সেখানে এতটুকু গাফিলতি বা ঢিলেমি সহ্য করবে না দল। এ-কথা একাধিকবার বলেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী পাঁচ বছর মানুষের দেওয়া দায়িত্ব মাথা নিচু করে পালন করবেন জয়ীরা। দল প্রতি মুহূর্তে পঞ্চায়েতের কাজের উপর নজর রাখবে। দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ে তোলাই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে দিকে দিকে কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মানুষের পঞ্চায়েত। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে বেশ কিছু দিন থমকে গিয়েছিল উন্নয়ন-কর্মসূচি। দলের স্পষ্ট নির্দেশ, প্রয়োজন ভিত্তিতে অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে উন্নয়ন- কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সকলকে। কাজই হবে পরিচয়।