মেঘালয়ের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বদলাতে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প। বুধবার, মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে তৃণমূলের জনসভা থেকে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার, ডবল মুখোশের সরকার।
মেঘালয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, এখানে বিজেপির প্রক্সি সরকার চলছে। আসল কলকাঠি নাড়ছে দিল্লি। বিজেপি মেঘালয়ে অপশাসন চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে বিজেপি ডবল ইঞ্জিনের কথা বলেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে এটা ডবল মুখোশ- তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল সুপ্রিমোর। তৃণমূল সভানেত্রীর অভিযোগ, মানুষের জন্য কিছুই করেনি মেঘালয় সরকার। কেন বিজেপি ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও বেকারের সংখ্যা এত বেশি! প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তুলে ধরেন তাঁর জমানায় বাংলার উন্নয়নের পরিসংখ্যান। জানান, দেশে যেখানে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে ভোট মানে বিজেপিকে সমর্থন, মেঘালয়বাসীকে সতর্ক করে বললেন অভিষেক
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় আমরা প্রত্যেক কৃষককে প্রতি বছর ১০হাজার টাকা করে দিই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান মহিলারা। বাংলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রয়েছে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্প। পড়ুয়াদের স্টুডেন্ট ক্রেডিড কার্ডের মাধ্যমে ১০লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। মেঘালয়ের তৃণমূল ক্ষমতায় এলে, সেই রাজ্যের মানুষও এই সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তৃণমূলই একমাত্র দল যে আপনাদের উন্নত প্রশাসন দিতে পারবে। এরপরেই বিজেপির জোট সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫ বছরে কী করেছে রিপোর্ট কার্ড দেখাক।
এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে চেষ্টা করার সুযোগ দিন- এই আর্জি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাইরের লোক নয়, মেঘালয়ের মানুষই এই রাজ্য শাসন করবেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, আমি কখনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করিনি। রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমি মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতি করি।
মেঘালয়ের ভাষায় সুর আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও গান রচনা করেন, সুর দেন। তিনি বলেন, মেঘালয়ের এই সুরকেই তুলে ধরবে তৃণমূল। পরেরবার মেঘালয়ে এলে আপনাদের ভাষা শিখে আসব- মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে, মেঘালয়ের দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে।