বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা মজিবুরের। শুক্রবার সকালে আগরতলার বাঁধারঘাটের মিলনপল্লীর বাড়িতেই ফিরে আসে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা মজিবুর ইসলাম মজুমদারের কফিন বন্দি নিথর দেহ। ত্রিপুরায় দলীয় নেতার মরদেহের সঙ্গে সুবল ভৌমিক সহ স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন বাংলার তৃণমূল নেতৃত্ব – ব্রাত্য বসু, শান্তনু সেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাসভবনে যান বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা তথা আগরতলার বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন। বিজেপি থেকে বরখাস্ত হওয়া আশিস সাহারাও এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-চার পুরসভায় ভোট পিছনো নিয়ে কমিশনের অবস্থান কী? হলফনামা চাইল Kolkata High Court
শোকের অবহেই মুজবরকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ব্রাত্য বসু,শান্তনু সেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে একই সারিতে দেখা গেল সুদীপ রায়বর্মন, আশিস সাহাদেরও। শুধু তাই নয়, একসুরে তাঁরা তৃণমূল নেতা মুজবরের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানালেন।
ছেলেবেলার বন্ধু, একদা রাজনৈতিক সহকর্মী মজিবুর ইসলাম মজুমদারকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা আগরতলার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা দাবি করেন, “মজিবুর ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ৩০২ খুনের মামলা রুজু করে চার্জশিট দিক। দুষ্কৃতীরা নির্মমভাবে মেরেছে। শুধু হাত ভেঙে দেওয়া নয়, গতবছর ২৮ আগস্ট ঘটনার দিন তাঁকে মাটিতে ফেলে বুকে লাথি মেরেছে দুষ্কৃতীরা। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে মজিবুরের।
আরও পড়ুন-নিহত আরও ৩, ৮ দিনে ১৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনাবাহিনী
এরপরই পুরনো সহকর্মীর মৃত্যু শোকের মধ্যেই কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, “খুব ছোট থেকে মজিবুরের সঙ্গে আমার পরিচয়। ওদের এই বাড়িতে আমি বহুবার এসেছি। আমাদের বাড়িতেও ওরা যেত। আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।
মজিবর একজন নিপাট ভদ্র-সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তাঁর। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পেলেই মজিবরের আত্মা শান্তি পাবে।”
আরও পড়ুন-ফের দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হল কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির কনভেনর সুবল ভৌমিক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিপ্লব দেব প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। একইসঙ্গে মজিবুর ইসলাম মজুমদারের পরিবার ও তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক। তিনি বলব, “কলেজে ছাত্র রাজনীতি থেকে হাতেখড়ি মজিবরের। তখন থেকে ওকে আমি চিনি। রাজনৈতিক পরিবার থেকেই ওর বড় হয়ে ওঠা। ওর বাবাও মন্ত্রী ছিলেন। কলকাতায় গিয়ে যখন আইন নিয়ে পড়াশোনা করে, তখন আমরা দুজন আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মজিবরের মতো একজন সৎ, ভালো মানুষ খুব কম দেখেছি। কিন্তু তাকেই বাঁচতে দিল না। আমরা মজিব হত্যার সুবিচার দাবি করছি।”