সংবাদদাতা, সাঁইথিয়া: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করা হল বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত শ্রীনিধিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষকে। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্রী আমনদীপ জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগে ২ মহিলা-সহ তিনজনকে ইতিমধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃত তৃণমূল কর্মীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাঙালি তাই অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ কোচবিহারের আরতির
লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে ফোন করে পীযূষ ঘোষকে ডাকা হয়েছিল শ্রীনিধিপুরের কোনাই মোড়ে। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তবে বীরভূম জেলা পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা আছে। যেভাবেই হোক পুলিশ পীযূষ ঘোষের খুনি বা খুনিদের নিশ্চিত গ্রেফতার করবে। আমরা পুলিশের কাছে দাবি করেছি, খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে হবে। গ্রামের সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই এই খুনে জড়িত নয়। কারণ, খুন- রাহাজানি যারা করে তারা দুষ্কৃতী। আর দুষ্কৃতীদের কাছেই অস্ত্র থাকে। রবিবার সকালে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির তিন সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহ ও কাজল শেখ। প্রয়াত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী তিস্তা ঘোষের সঙ্গে দেখা করে যেভাবেই হোক অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করবে বলে আশ্বস্ত করেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বলেন, পীযূষ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের কর্মী। তাঁকে যেভাবে খুন করা হয়েছে আমরা তার কঠোর নিন্দা করছি। যারাই পীযূষ ঘোষকে খুন করে থাকুক না কেন, তাদেরকে শাস্তি পেতেই হবে। আমরা পীযূষ ঘোষের পরিবারের পাশে আছি। যে কোনওরকম সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেব। মৃত পীযূষ ঘোষের স্ত্রী তিস্তা ঘোষ দাবি করেন, এর আগেও তাঁর স্বামীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে চিরকুট পাঠিয়ে বলা হয়েছিল রাজনীতি ছেড়ে দিতে। কিন্তু তাঁর স্বামী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে চাননি। তাই হয়তো তাঁকে আজ এভাবে খুন হতে হল। পুলিশের কাছে আবেদন, অবিলম্বে প্রকৃত খুনিকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, পীযূষ দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। তাঁর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। পীযূষের খুনিকে শাস্তি দিতে দল সব সাহায্য করবে। ওঁর পরিবার যাতে আর কোনও বিপদের সম্মুখীন না হয় সেই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।