প্রতিবেদন : ইদানীং ঝাড়গ্রামে বছরভর পর্যটকদের কমবেশি ভিড় লেগে থাকে। ফলে হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে বা লজে অনেক সময় রাত্রিবাসের জায়গা মেলে না। এই অবস্থায় ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ২১ লক্ষ টাকা খরচে লোধাশুলিতে গেস্ট হাউস তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এবার তা দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে। ঝাড়গ্রাম শহরের প্রবেশদ্বার লোধাশুলি। কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়ক লোধাশুলির উপর দিয়ে গিয়েছে। লোধাশুলি মোড় থেকে উত্তরমুখী রাস্তাটি গিয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের দিকে। জাতীয় সড়ক ধরে পশ্চিমে গেলে গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ ব্লকে যাওয়া যায়। যোগাযোগের এই সুবিধার কথা মাথায় রেখেই লোধাশুলিতে গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা নেয় তৃণমূল পরিচালিত ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। সেইমতো লোধাশুলি মোড় সংলগ্ন জঙ্গলের কাছেই এই হোম স্টে ও একতলার গেস্ট হাউসটি নির্মিত হয়েছে। পঞ্চম অর্থ কমিশনের টাকায় ২০২৩ -২৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যেই ভবনটির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা থেকে সড়কপথে লোধাশুলি হয়েই পর্যটকেরা ঝাড়গ্ৰাম পৌঁছান। ঝাড়গ্রাম শহর থেকেই তাঁরা জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে বেড়াতে যান। লোধাশুলি হোম স্টে নির্মাণের ফলে এখন থেকে উত্তর ও দক্ষিণের পর্যটনস্থলে যাওয়ার জন্য ঘুরপথ না ধরে সরাসরি
যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনা এড়াতে ‘অন্ধকার’ আলোর শহর চন্দননগর
ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত সাহার কথায়, লোধাশুলি হোম স্টে ও গেস্ট হাউস তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। সামান্য কিছু কাজ বাকি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় এখানে গেস্ট হাউস গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলায় পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে। লোধাশুলির মতো শহরের নিকটবর্তী জায়গায় পর্যটন নিবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির এই উদ্যোগ সময়োপযোগী।

