প্রতিবেদন : বাংলার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ল তৃণমূল (TMC)। বাংলা ভাষা ও বাঙালিকে অপমান বরদাস্ত নয়, বঙ্গের মনীষীদের ছবি হাতে সংসদ ভবনের মকর দ্বারের বাইরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দের মতো বরেণ্য মনীষীদের ছবি-পোস্টার হাতে নিয়ে বাংলা-বিরোধী বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের (TMC) লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মৈত্র, সাগরিকা ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার আগেই বলেছিলেন, বাংলা ভাষাকে অপমান মানে জাতীয় সংগীতকে অপমান। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার সংসদে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। পদ্ম নেতৃত্বের ক্রমাগত বাংলাকে অপমানের প্রতিবাদে বুধবার সকাল দশটা পনেরো মিনিট থেকে সংসদ ভবনের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। কাকলি জানান, বিজেপির উচিত অবিলম্বে অমিত মালব্যকে বহিষ্কার করা বা তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা। ‘বাংলা ভাষা নয়’ বলে উনি তো আমাদের জাতীয় সংগীতকে অপমান করেছেন! আমরা চুপ করে বসে থাকব না। এদিকে সংসদের ঝড় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোট। এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান দেন তৃণমূল সাংসদেরা। দু’দফায় মুলতবি হয়ে যায় লোকসভা এবং রাজ্যসভা। ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে দাবি জানানো হয়, গুরুত্বপূর্ণ বিল হইচইয়ের মধ্যে দিয়ে পাশ করিয়ে নেবেন না।
আরও পড়ুন-সরকারি প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহারে আপত্তি নেই: সুপ্রিম কোর্ট