প্রতিবেদন : ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে সংসদকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানির বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ দিলেন তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে তিনি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের মিথ্যাচারের কথা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ববিরোধী তথ্যের কথা। প্রকাশ করেছেন গভীর উদ্বেগ। কেমনভাবে লোকসভায় বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে? গত ২৫ মার্চ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বাপি হালদারের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক স্বীকার করেছিল, ২০২১ থেকে মনরেগা প্রকল্পে বাংলা কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও টাকা পায়নি। কিন্তু এই প্রশ্নেরই লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতিতে ঠিক উল্টো কথা বলা হয়। স্পষ্টতই বিভ্রান্ত করা হয় সংসদকে।
আরও পড়ুন-বাংলা নববর্ষের মুখে চারদিনের টানা ছুটিতে বাড়তি ভিড় দিঘায়
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংসদের কার্যক্রমের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। অভিযোগ করেছেন মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ। এখানেই শেষ নয়, লোকসভায় তামিলনাড়ুর ব্যাপারেও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি, মনরেগা প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশের তুলনায় বেশি অর্থ পেয়েছে তামিলনাড়ু। কিন্তু অদ্ভুত বিষয়, লোকসভায় পেশ করা লিখিত তথ্যে এই দাবিরই বিরুদ্ধাচরণ স্পষ্ট। এখানেও চরম বিভ্রান্তি। লিখিত উত্তরের তথ্যেই প্রমাণিত, চলতি আর্থিক বছরে উত্তরপ্রদেশই আসলে মনরেগা প্রকল্পে তামিলনাড়ুর চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই ১৯৮৭ সালে সংসদে একটি স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার উদাহরণ তুলে ধরেন বাপি হালদার। তাঁর যুক্তি, সংসদকে বিভ্রান্ত করার অর্থ গুরুতর স্বাধিকারভঙ্গ। প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে সাংসদদের কর্তব্যপালনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে এই ধরনের প্রবণতা।