প্রতিবেদন : লোকসভার শপথেও যে এক ব্যতিক্রমী ধারার উপস্থাপনা সম্ভব তা দেখিয়ে দিলেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদরা। তাঁদের দৌলতেই মঙ্গলবার এক অনন্য শপথগ্রহণের সাক্ষী হল সংসদ-ভবন। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংবিধানের জয়ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠল অনুষ্ঠান। সঙ্গে স্লোগান উঠল ‘জয় বাংলা’। শোনা গেল উদাত্ত কণ্ঠে মন্ত্রোচ্চারণও। তৃণমূল সাংসদদের মার্জিত উচ্ছ্বাসে আপ্লুত হয়ে পড়লেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তুহরি মহতাবও। বললেন, বাংলাভাষা খুবই মিষ্টিভাষা।
আরও পড়ুন-সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত
হ্যাঁ, অধিকাংশ সাংসদই শপথ নিলেন বাংলায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃতে চণ্ডীস্তোত্র পাঠ করে অবাক করে দিলেন সকলকে। তাঁর শপথের আগে স্লোগান ওঠে, খেলা হবে। শপথের শেষে সম্মিলিত কণ্ঠে শোনা যায়, জয় বাংলা। অলচিকিতে শপথবাক্য পাঠ করলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সোরেন। জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল, বীরভূমের শতাব্দী রায়, যাদবপুরের সায়নী ঘোষ জয়ধ্বনি দিলেন নিজেদের কেন্দ্রের নামে।
আরও পড়ুন-সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত
পোশাক এবং সাজসজ্জাতেও নজর কেড়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। গাঢ় রঙের ট্রাউজার্স এবং দুধসাদা শার্ট— সেই সুপরিচিত পোশাকে শপথ নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কীর্তি আজাদ পরেছিলেন বাংলার ঐতিহ্য তসরের ধুতি-পাঞ্জাবি। পার্থ ভৌমিকের সাদা শার্টের বুকপকেটের কাছে নীল অক্ষরে লেখা ‘জয় বাংলা’। মহিলা সাংসদদের পরনে ছিল শাড়ি। জুন মালিয়া, মহুয়া মৈত্রের গলায় মুক্তোর হার। শপথ শেষে গ্রুপ ছবি আর সেলফি তোলার পালা। সঙ্গে অবশ্যই প্রাণখোলা হাসি। সবমিলিয়ে এক বর্ণাঢ্য শপথ উপহার দিলেন তৃণমূলের সাংসদরা।