প্রতিবেদন : পহেলগাঁও জঙ্গিহানা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের জন্য জোরালো দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিদেশ থেকে প্রতিনিধিদল ফিরলেই ডাকা হোক সংসদের বিশেষ অধিবেশন। দলনেত্রীর সেই দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যসভা ও লোকসভার তৃণমূল সদস্যরা। এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে দলের সদর দফতরে মিলিত হন দলের সাংসদরা। সংসদের সেন্ট্রাল হলে জরুরি বৈঠক বসে তৃণমূল সংসদীয় দলের।
আরও পড়ুন-৪৪২০৩ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যের, ৩০শে মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভার দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, সাজদা আহমেদ, সুস্মিতা দেব, মমতাবালা ঠাকুর, অসিতকুমার মাল, খলিলুর রহমান, পার্থ ভৌমিক, জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, অরূপ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, বাপি হালদার, কালীপদ সোরেন, জুন মালিয়া, মিতালী বাগ, ডাঃ শর্মিলা সরকার, সুখেন্দুশেখর রায়, মৌসম নুর, সাকেত গোখেল, প্রকাশ চিক বরাইক-সহ মোট ২৮ জন সাংসদ। পাহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত সাধারণ মানুষ ও শহিদ জাওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তৃণমূল সাংসদেরা। তারপর একঘণ্টার বৈঠকের পর বিশেষ কর্মসূচি ও স্বাক্ষর। বৈঠকের পর সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সাগরিকা ঘোষ জানান, বিশেষ অধিবেশনের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দল চিঠি দিচ্ছে। যাতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন ডাকেন। পহেলগাঁওতে ঠিক কীভাবে হামলা হয়েছিল, তারপর ভারতীয় সেনা কীভাবে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করেছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্যই জরুরি সংসদের বিশেষ অধিবেশন। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।