প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল (TMC)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীকে ফোনে ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ফোনালাপের অডিও ক্লিপিংসও কমিশনকে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধেও কমিশনে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষ্ণনগর বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ফোনালাপে ঠিক কী কী বিধিভঙ্গ হয়েছে, তাও সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে ইস্যু ধরে ধরে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ সামনে এনেছে তৃণমূল। ফোনালাপে উল্লেখিত ৩ হাজার কোটি টাকার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ওই কথোপকথনের মাধ্যমে ভোটারদের প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিডিয়ার একাংশের নোংরামি অব্যাহত, তবু জোড়া ফুল বাংলা জুড়ে
এ-ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানির অভিযোগও তোলা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর পূর্বসূরি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, উনি না থাকলে আমরা কেউ হিন্দু থাকতে পারতাম না। আমাদের ভাষা, পোশাক সব বদলে যেত। তৃণমূল এ-প্রসঙ্গে দাবি করেছে, আদর্শ আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে কার্যত ধর্মের নামে ভোট চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের আর্জি, এই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হোক। এ-ছাড়া উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।