মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। এই মর্মে দল প্রস্তাব নিয়েছে। দলনেত্রীকে সেই অনুরোধ পাঠানোও হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আবারও বার্তা গেল গোটা দেশের কাছে, জাতীয় রাজনীতিতে অ-বিজেপি বিকল্পের ভরকেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদধ্বনি স্পষ্ট।
আরও পড়ুন-৩৫টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দেবে রাজ্য
বৃহস্পতিবার সংসদীয় দলের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল এই মর্মে। শুক্রবার তা সামনে আনে দল। সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দুশেখর রায় ও ডেরেক ওব্রায়েন। জানিয়ে দেন সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত।
সাংবাদিকদের কারুর কারুর প্রশ্ন ছিল, নেত্রী তো এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন কেন?
সুখেন্দু শেখর রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতবারের সাংসদ। চারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার মধ্যে দুবার রেলমন্ত্রী। তিনবার মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় রাজনীতিতে বিপুল অভিজ্ঞতা। সবাই পছন্দ করেন। সম্মান করেন। তিনি চেয়ারপার্সন থাকলে তাঁর অভিভাবকত্বে সংসদীয় দল আরো ভালোভাবে চলবে। সেই কারণেই সাংসদরা সবাই নেত্রীকেই সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন পদে চান।”
আরও পড়ুন-সংসদভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দু, ক্ষুব্ধ বিজেপিই
বস্তুত তৃণমূল সাংসদদের এই অভিনব সিদ্ধান্তে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদধ্বনি আরও তীব্রতর হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি আসছেন ২৬ জুলাই। তার আগে এই সিদ্ধান্তে বোঝা গেল অবিজেপি জোটের সমীকরণে তৃণমূল যথেষ্ট কোমর বেঁধে নামছে। নেত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে কথা হবে বিভিন্ন দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে। এর ফাঁকে বাংলার সরকারি কিছু দরকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে।