প্রতিবেদন: মঙ্গলবারও তৃণমূল-সহ বিরোধীদের মিলিত প্রতিবাদে সংসদে নাস্তানাবুদ হল মোদি সরকার। লোকসভার স্পিকার বাদল অধিবেশনের তিন সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবি না মানায় এদিনও সংসদ মুলতবি হয়ে যায়। রাজ্যসভাতে ডেপুটি চেয়ারম্যান বিরোধীদের নিবিড় সংশোধনী নিয়ে আলোচনার দাবি মানতে চাননি। এসআইআরের বিরোধিতার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলার প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্য দিনের মতো মঙ্গলবার সংসদের বাইরে মকরদ্বারের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, আরজেডি, শিবসেনা, ডিএমকে সাংসদরা সম্মিলিতভাবে এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিতে এবং বিজেপির চুপিচুপি ভোট চুরির ষড়যন্ত্রের বিরোধিতায় ব্যানার হাতে সুর চড়ান।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশন ঘেরাও ১১ অগাস্ট
সূত্রের দাবি, এদিন সকালে বিরোধী শিবিরের বৈঠকে ভোটার তালিকায় সংশোধনী নিয়ে সংসদের ভিতরে বাইরে বিক্ষোভের ঝাঁজ আরও বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ইন্ডিয়া ব্লক আলোচনার দাবিতে চালিয়ে যাবে লড়াই। এক্ষেত্রে সংসদের ভিতরে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হবে বলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তর কাশীতে ভয়াবহ হড়পা বান, মৃত ৫, নিখোঁজ ৬০
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় নিবিড় সংশোধনী ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী মতবিরোধ চরমে পৌঁছয়। বিরোধীদের সব নোটিশ খারিজ করে দেওয়ার প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, শিবসেনা নেতারা। এদিন সংসদে এসআইআর নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবি না মানলেও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাইতে চেষ্টা করেন। বিভিন্ন অজুহাত খাড়া করেন। বিরোধীরা অবশ্য সেইসব অজুহাত আমল দেননি।