বুধবার সংসদে (Parliament Attack- TMC) হামলার প্রেক্ষিতে সদনের দুই কক্ষেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদে হামলার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পার্লামেন্ট লাগোয়া বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক করেন লোকসভার সংসদ ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং রাজ্যসভার সংসদ দোলা সেন। সেখানেই দোলা সেন নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারের কিসের এত তাড়াহুড়ো নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের। কাকলি ঘোষ দস্তিদার সরাসরি প্রশ্ন করেন, যদি সংসদে ঢুকে সাংসদদের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটানো হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে আমাদের দেশের জাতীয় সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত রয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখন এথিক্স কমিটি কোথায় গেল?
সাংবাদিকদের সামনে দোলা সেন বলেন, বুধবারের ঘটনা একদিনের আকস্মিক কোনও ঘটনা নয়। সম্পূর্ণ রেইকি করেই সেটা ঘটানো হয়েছে। সেই কারণেই যারা গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়েছে তারা অন্য কোথাও নয় একেবারে কার্পেটের উপর ঝাঁপ দিয়েছে যাতে তাদের শরীরে কোনও আঘাত না লাগে। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন সংসদ ভবনে (Parliament Attack- TMC) সম্পূর্ণ বাইরে থেকে আসা দুটো যুবক কিভাবে অবলীলায় একের পর এক ধাপ অতিক্রম করতে পারলো। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটানোর আগে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। হতেই পারে ভেতর থেকে তাদের কেউ সাহায্য করেছে। দোলা সেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না কিন্তু এর সঠিক তদন্ত চাই আমরা। যারা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বলে, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে দাবি তৃণমূলের।
আরও পড়ুন-সংসদে হানার আলোচনা ‘অপরাধ’? সাসপেন্ড ১৫ বিরোধী সাংসদ
এদিন বিজয় চকে সাংবাদিকদের সামনে কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, যিনি পাস ইস্যু করেছিলেন তিনিও একজন বিজেপি সাংসদ তার বিরুদ্ধেও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার এবং তাকে বহিষ্কার করা দরকার। কারণ ওই দুই যুবক প্রায় তিন মাস ধরে বিজেপি সাংসদ এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে পাস এর জন্য। কাকলি ঘোষদস্তিদার এর কটাক্ষ ,এর পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, তাহলে দেশের সুরক্ষা আমরা কাদের হাতে ছেড়েছি। যারা সংসদ ভবনটাকে সুরক্ষিত রাখতে পারছে না তারা দেশের যে ২২ হাজার কিলোমিটার বর্ডার এরিয়া আছে তার সুরক্ষা কিভাবে করবে।