প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের নারীনির্যাতন নিয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আরজি করের মহিলা চিকিত্সককে নির্যাতনের নেপথ্যে কতজন ছিল তা খুঁজে বার করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই৷ তারপরেও রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করতে পিছপা হচ্ছে না বিজেপি৷ প্রতি পদেই কেন্দ্রের শাসক দল চেষ্টা করে যাচ্ছে গোটা ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার৷ এই আবহেই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তুলেছেন, মহারাষ্ট্রের একটি নারীনির্যাতনের ঘটনাকে সামনে রেখে৷ কৃষ্ণনগরের সাংসদের এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডে পুরো অটোপসি পর্বকে ভিডিওগ্রাফ করেছে কলকাতা পুলিশ৷ শুধু তাই নয়, অভিযুক্তকে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ৷ কিন্তু মহারাষ্ট্রে নারীনির্যাতনের ঘটনায় দিনের পর দিন ধরে পুলিশ কোনও এফআইআর রুজু করেনি৷ এটাই হল আসল নন ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স৷
আরও পড়ুন-রাজ্যের মাটির কথা পোর্টাল চালু হতেই আবেদন জানানোর জন্য চাষিদের লাইন
এদিকে আরজি কর ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাকেত গোখেল। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর কটাক্ষ, দালাল ফিল্মমেকার মোদি আসলে একটি সাম্প্রদায়িক ছবি তৈরি করছেন। এবং নির্লজ্জভাবে কলকাতার প্রতিবাদকে সেই ছবির প্রমোশনের জন্য ব্যবহার করছেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে। নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের যে প্রকৃত দাবি, তাকে সাম্প্রদায়িক প্রচারে পরিণত করেছে বিজেপি। ৮ দিনে সিবিআই কিন্তু কিছুই করেনি। বিজেপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট, পুরো মামলাটিকেই চাপা দেওয়া এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তির যন্ত্র হিসাবে এই প্রতিবাদকে ব্যবহার করে বাংলার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া।