প্রতিবেদন : বছর ঘুরলেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভার আগে গ্রামাঞ্চলের এই ভোট রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। ইতিমধ্যে ভোটার লিস্টের খসড়া তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। আগামী একমাস এই তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকারে নৌকা প্রদান
তারই মাঝে সংগঠনকে আরও সক্রিয়-চাঙ্গা করতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের নেতা-নেত্রীদের জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দিল তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে প্রথম সারির নেতাদের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল। তবে ‘পর্যবেক্ষক’ নয়, কাজ পর্যবেক্ষকের হলেও নাম রাখা হয়েছে ‘প্রতিনিধি’। পঞ্চায়েতের আগে জেলায় জেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ শুরু করল তৃণমূল। বীরভূমের তৃণমূলের প্রতিনিধি হলেন অভিজিত্ সিংহ। কোচবিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উদয়ন গুহকে। কলকাতার দায়িত্বে দেবাশিস কুমার। আলিপুরদুয়ার- প্রকাশ চিক বাড়াইক। জলপাইগুড়ি- মহুয়া গোপ। দার্জিলিং- পাপিয়া ঘোষ। কালিম্পং- এল বি রাই। উত্তর দিনাজপুর- কানাইয়া লাল আগরওয়াল।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গির উৎস খুঁজতে উড়ল ড্রোন
দক্ষিণ দিনাজপুর- মৃণাল সরকার। মালদহ- আবদুর রহিম বক্সি। মুর্শিদাবাদ- খালিউর রহমান। নদিয়া- মহুয়া মৈত্র। উত্তর ২৪ পরগনা- জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা- অরূপ বিশ্বাস। হাওড়া- অরূপ রায়। হুগলি- স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পূর্ব বর্ধমান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিম বর্ধমান- মলয় ঘটক। পূর্ব মেদিনীপুর- সৌমেন মহাপাত্র। পশ্চিম মেদিনীপুর- অজিত মাইতি। ঝাড়গ্রাম- দুলাল মুর্মু। পুরুলিয়া- সৌমেন বেলথরিয়া। বাঁকুড়া – সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আসরে নামছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে তিনি নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে পর্যালোচনা বৈঠক উপস্থিত থাকবেন আগামী ১৫ নভেম্বর।