প্রতিবেদন : নিজেকে বড় হিন্দু বলে দাবি করেন। অথচ একবারের জন্যও বাড়ি থেকে ৩০-৪০ কিলোমিটারের মধ্যে জগন্নাথদেবের মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করার সময়টুকুও পাননি গদ্দার অধিকারী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় নির্মিত দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে কুৎসা রটানোর বেলায় সময় আছে ষোলো আনা! অবশ্য যে গদ্দার প্রথমদিন থেকে মন্দিরের বিরোধিতা করেছেন, তিনি মন্দিরের নামে কুৎসা করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। গদ্দারের এই কুৎসার জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ দাবি, দিঘার জগন্নাথধাম নিয়ে কুকথা বলার আগে এবং তৃণমূল সরকারের নামে বদনাম রটানোর আগে যদি প্রকৃত হিন্দু হয়ে থাকেন, তাহলে একবার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে দেখুন!
আরও পড়ুন: দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশ-সেরা কলকাতা, স্বীকৃতি কেন্দ্রের
দ্বারোদ্ঘাটনের দিনই দিঘার জগন্নাথধাম থেকে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে জগন্নাথদেবের ছবি-প্রসাদ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ১৭ জুন থেকে বাড়ি-বাড়ি প্রসাদ পাঠানোর কাজ শুরু করবে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসন। ২৭ জুন অর্থাৎ রথযাত্রার মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু রাজ্যের এই উদ্যোগেও রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন গদ্দার অধিকারী। একবারও জগন্নাথ মন্দিরে না গিয়ে ক্রমাগত কুৎসা রটাচ্ছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে সেই কুৎসার জবাবে গদ্দারকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, আপনারা নিজেদের সনাতনী হিন্দু বলে মনে করেন। কিন্তু একবারও জগন্নাথদেবকে প্রণাম করে আসার সময়ও পেলেন না? আর আপনাদের দলের সদ্য বিবাহিত নেতা দিলীপ ঘোষ মন্দিরে যাওয়ায় তাঁর পিছনে পড়ে গেলেন! গদ্দারের উদ্দেশে কুণালের আরও সংযোজন, জগন্নাথদেবের প্রসাদ বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা প্রশাসন করেছে। আপনারা এটা নিয়েও কুৎসা করতে শুরু করলেন? বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহুদূর। আপনি তো মন্দিরের উপর বিশ্বাসই রাখেননি! প্রথম থেকেই দূরে থেকেছেন, তর্ক করছেন। একটু মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে জগন্নাথদেবকে প্রণাম করুন, তাঁকে অনুভব করুন।
অন্যদিকে, বোলপুরে নারী-সম্মান নিয়ে মিছিল করছেন গদ্দার অধিকারী! সেই গদ্দার অধিকারীই একসময় গলাবাজি করে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে চূড়ান্ত অপমান করে বলেছিলেন, ‘আমার জুতার নিচে থাকে!’ তাই নারী-সম্মান নিয়ে কোনও মিছিল করার আগে গদ্দারের কাছে তৃণমূলের পরিষ্কার দাবি, আগে প্রকাশ্যে বীরবাহা হাঁসদার কাছে ক্ষমা চান! তারপর মিছিল করবেন। তবে যে বিজেপির নেতারা নিত্যদিন নারীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, দেশের মহিলা সেনা-অফিসারকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলেন; নারী-সম্মান নিয়ে তাঁদের মুখ না খোলাই শ্রেয়।