বিজেপির ভাষা-সন্ত্রাস সংসদে গর্জে উঠল তৃণমূল

সংসদ শুরুর আগে সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিরোধীদের তোলা সব ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা করবে সরকার৷

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির ভাষাসন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার সংসদে ঝড় তুলল তৃণমূল। বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল সাংসদেরা। সংসদ শুরুর আগে সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিরোধীদের তোলা সব ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা করবে সরকার৷ তাদের এই আশ্বাস যে সম্পূর্ণ মিথ্যে, তার প্রমাণ মিলেছে বুধবার, সংসদের বাদল অধিবেশনে৷

আরও পড়ুন-ওড়িশা সরকারের মিথ্যাচার, হলফনামা তলব হাইকোর্টের, বিজেপি-রাজ্যে শ্রমিক আটক

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একাধিক সাংসদ মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ পেশ করে ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষীদের উপরে হওয়া নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান৷ সংসদের ২৬৭ ধারায় এই নোটিশ পেশ করে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় দাবি জানান তৃণমূল সাংসদেরা৷ কিন্তু তাঁদের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় সরকার৷ এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা৷ সংসদের ভিতরে ও বাইরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদেরা৷ এই বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংসদে বিরোধীদের পেশ করা নোটিশ খারিজ করা যায়, কিন্তু মানুষের আন্দোলনকে রোখা যায় না৷ বাংলা ও বাঙালির কণ্ঠরোধ করতে পারবে না মোদি সরকার৷

আরও পড়ুন-যুবভারতীতে সূচনা ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের, মুখ্যমন্ত্রীর শটে কিক-অফ

কেন্দ্রকে এক হাত নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তাঁর অভিযোগ, সংসদে যাতে কোনওভাবেই বিরোধীদের তোলা ইস্যু প্রাধান্য না পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সংসদীয় অধিবেশনকে অচল করে রাখছে মোদি সরকার৷ বুধবার লোকসভা ও রাজ্যসভা— দুই কক্ষেই সংসদের অধিবেশন সারাদিনের জন্য মুলতুবি করে দিয়ে পালানোর পথ খুঁজেছে মোদি সরকার৷ তাঁর তোপ, সরকার পালাতে চাইছে, ওদের কাছে কোনও জবাব নেই, তাই ওরা সংসদ ভণ্ডুল করছে৷ বুধবার অপারেশন সিঁদুর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন ইস্যুকে হাতিয়ার করে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী শিবির৷ এদিন কংগ্রেসের তরফে বাঙালি নির্যাতন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছে৷

Latest article