প্রতিবেদন : ফের মিথ্যাচার গদ্দারের। বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় কূলকিনারা না পেয়ে আবার একবার কুৎসার রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। গদ্দার অধিকারীর সেই মিথ্যাচারের মুখোশ ফের একবার টেনে খুলে দিল তৃণমূল। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি নিয়ে তিনি যে অপপ্রচার শুরু করেছিলেন, তৃণমূলের তদন্তে সেই নোংরা রাজনীতির পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। সামনে এল প্রকৃত সত্য।
আরও পড়ুন-ট্যাংরা বিরলতম আত্মহত্যার প্লট, প্রতীক-প্রসূনকে আনা হল এনআরএসে
সম্প্রতি দেউচা-পাঁচামিতে শুরু হয়েছে ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজ। ভারতের বৃহত্তম কয়লা খনিকে ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের জোয়ার আসতে চলেছে বাংলায়। তৃণমূল সরকারের এই সাফল্যে ঈর্ষাকাতর হয়ে কুৎসা ও মিথ্যাচারের রাজনীতিকে অবলম্বন করে বিজেপি। দেউচা-পাঁচামি নিয়ে গদ্দার অধিকারী বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বীরভূমের মূলনিবাসী মানুষ বলে যাঁদের পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁরা আসলে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের বাসিন্দা। বারাকপুরের মানুষকে বীরভূমের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে নেমেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের প্রকৃত পরিচয় সামনে এনে দিয়েছে। যাঁদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন গদ্দার অধিকারী, তাঁদের একজন হলেন বীরেন হাঁসদা। আমডাঙার মড়িচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। পেশায় স্কুল শিক্ষক। দ্বিতীয় জন হলেন আনন্দ বেসরা। উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের কাঁচরাপাড়া নিউ কলোনির বাসিন্দা। বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিংয়ের পাশে যে মহিলাটিকে দেখা গিয়েছিল, তিনি বীরেনের স্ত্রী। বীরেন হরবাটি পশরডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তা আমডাঙাতেই অবস্থিত। এইসব বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেউচা-পাঁচামি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন বিরোধী দলনেতা গদ্দার অধিকারী। তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম তাঁর টিম নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তখনই এই চক্রান্তটি সামনে আসে। সামিরুল দলকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সত্য তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ফাঁস করে দেন গদ্দারের মিথ্যাচার। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না পেরে বারবার মিথ্যাচার আর কুৎসার রাজনীতি করতে গিয়ে পচা শামুকে পা কাটছে গদ্দারের। তবুও তাঁর শিক্ষা হচ্ছে না। তৃণমূলের তদন্তে আবারও একবার তাঁর মুখ পুড়ল।