সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ : বিএসএফের গাফলতিতে চোপড়ার চেতনাগাছ এলাকায় চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু। যতদিন না এই ঘটনার ন্যায্য বিচার হবে, কেন্দ্র হস্তক্ষেপ না করবে ততদিন পর্যন্ত চলবে তৃণমূলের ধরনা। শুক্রবার ধরনার চতুর্থ দিনেও এভাবেই গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ গ্রামবাসীও। সোমবার এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই চার মৃত শিশুর পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। গ্রামে গিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশনও। তাঁদের প্রতিনিধিরাও কথা বলেছেন গ্রামের বাসিন্দা এবং চার শিশুর পরিবারের সঙ্গে। বিএফএফও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে নিজের গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন-মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে, বাতিল তিন পরীক্ষার্থী
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এরপরেও কেন্দ্রর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চুপ কেন? কেন ওই দফতর থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে না ওইদিন ড্রেন খোঁরার সময় সীমান্তরক্ষীদের কোনও ব্যাটিলিয়ানের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন? এ-ছাড়াও রাজ্যের তরফে এই ঘটনার পর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলেও কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি দল আসা তো দুরস্ত্ বিজেপির কোনও নেতা-নেতৃত্বদের গ্রামে ঢুকতে দেখা যায়নি। তারা সন্দেশখালি নিয়ে আগ্রহ দেখালেও চোপড়ায় এত বড় ঘটনার পর কেউ আসেনি। ঘটনায় বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে গ্রামবাসীরা। ঘটনার পর থেকেই মৃত পরিবারের পাশে সব রকম ভাবে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ধরনারত তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, যতদিন না মৃতের পরিবার বিচার পাবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে। সীমান্তে বিএসএফের হত্যালীলার প্রতিবাদে গর্জে উঠবে তৃণমূল। তাঁদের সঙ্গে ধরনায় রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারাও।