এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে পুনর্বাসন ছাড়াই রেলের উচ্ছেদ রুখল তৃণমূল

শুক্রবার রাতেই সকলকে একজোট হয়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়ে মাইকিং করেন প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা আব্বাস হোসেন।

Must read

প্রতিবেদন: শনিবার জেসিবি নিয়ে রামপুরহাট স্টেশন সংলগ্ন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে আসেন রেলকর্তারা (Railway)। কিন্তু, তৃণমূল নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ফিরতে হল তাঁদের। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে রেলের জায়গায় প্রায় ২৫০ পরিবার বসবাস করছে। আগে রেলের তরফে একাধিকবার উচ্ছেদ নোটিস দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি নোটিসে শনিবার উচ্ছেদে নামার কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন-দল হিসাবে রোজ উন্নতি করতে চাই, ম্যাচ জিতিয়ে রোহিত

শুক্রবার রাতেই সকলকে একজোট হয়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়ে মাইকিং করেন প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা আব্বাস হোসেন। শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলে তিনি বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকতকে দেন। বেলা ১১টা নাগাদ প্রচুর আরপিএফ ফোর্স, জেসিবি নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে আসেন রেলকর্তারা। স্থানীয়রা তৃণমূল পতাকা হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জড়ো হন। বাসিন্দারা জানান, বহু বছর ধরে বসবাস করছেন। উচ্ছেদ করা হলে পথে বসতে হবে। রেল যদি খালি জায়গায় পুনর্বাসন দেয় তো তাঁদের সরে যেতে আপত্তি নেই। কয়েকজন কাউন্সিলার ও তৃণমূল নেতা-কর্মীকে নিয়ে এসে পুরপ্রধান রেলকর্তাদের কাছে সরে যাওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় চান। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে রেলকর্তারা বাহিনী নিয়ে ফিরে যান।

Latest article