প্রতিবেদন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কোন পর্যায়ে গেলে একজন সাংসদের বেতন কেটে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে? সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল৷
আরও পড়ুন-মা হওয়া মুখের কথা নয়
অমিত শাহর তানাশাহি চলবে না, রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন সাকেত গোখেল৷ জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সৈনিক হিসেবে তিনি রাজনৈতিক লড়াই লড়তে পিছপা হবেন না, বিজেপির কাছে মাথা নত করবেন না৷ এর পরেই চরমে উঠেছে বিজেপির প্রতিহিংসা৷ তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির একটি মামলা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর স্ত্রী, কূটনীতিবিদ লক্ষ্মী পুরী৷ এই মামলাতেই দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল সাকেত গোখেলকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে প্রতি মাসে সাকেতের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে ৭৫ শতাংশ টাকা৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা তৃণমূল শিবির৷ শুক্রবার দলের তরফে জানানো হয়েছে সাকেত গোখেল নিজে এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবেন৷