প্রতিবেদন : সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ করানো হয়েছিল। যে ঘটনায় তাঁদের মান, সম্মান ও সম্ভ্রমহানি হয়েছে। ওই মহিলারা তাঁদের দুঃখ ও যন্ত্রণার কথা এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তুলে ধরতে চান। তাঁরা তৃণমূল নেতৃত্বকে এজন্য বারবার অনুরোধ জানাচ্ছেন। তাঁদের অনুরোধ রাখতেই এবার সন্দেশখালি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সন্দেশখালির প্রকৃত ঘটনা জানাতে চান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে শশী পাঁজা বলেন, প্রতিদিন মিথ্যে কথা বলে বিজেপি। সন্দেশখালি নিয়ে তাঁরা খোদ দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে মিথ্যে কথা বলেছে। ভাইরাল ভিডিওয় যা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ভাবুন আপনারা, এদেশে বিজেপি থাকাকালীন কী কী হচ্ছে? দেশের রাষ্ট্রপতিকেও পর্যন্ত মিথ্যে কথা বলছে, মিস গাইড করছে। যে টিমটা গেল তারা গিয়ে মিথ্যে কথা বলে এল। আমরা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি, একটা রাজনৈতিক দল কোথায় যাচ্ছে? এতদিন আমরা জানতাম অপরাধীরা জেলে যায় কিন্তু এখানে অপরাধীরা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে সাফ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি যেভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ভুল পথে চালনা করেছে তাতে আমরা বিস্মিত। সন্দেশখালির মহিলারা প্রতিদিন সাহস দেখাচ্ছেন এবং তাঁদের মিথ্যা অভিযোগ ফিরিয়ে নিতে এগিয়ে আসছেন। বলছেন, তাঁদের জোর করে সই করানো হয়েছিল। অমিত শাহ রাজ্যে এসেছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে এই ঘটনার জন্য তিরস্কার করবেন এবং সন্দেশখালিতে তাঁরা যা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করবেন। কিন্তু তিনি সে সব কিছুই করলেন না, বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাও চাইলেন না। সন্দেশখালির মহিলারা বলছেন, তাঁরা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে চান। তাই আমরা আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করার বিষয়ে চিন্তা করছি যে আমরা সত্যিটা বলার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারি কিনা। সন্দেশখালিতে বিজেপির মিথ্যাচার সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করা দরকার। অরূপ চক্রবর্তী বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে সাংবাদিকরা অমিত শাহকে প্রশ্ন করলেও তিনি উত্তর দেননি। আমরা আজ দেখছি যে, গঙ্গাধর কয়াল সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কিন্তু যেদিন ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, সেদিন তিনি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন যে ভিডিওয় যে গলা শোনা গিয়েছে সেটা তাঁর এবং ভিডিওটি তাঁর ঘরেই শ্যুট করা হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীও স্বীকার করেছিলেন যে ভিডিওটি তাঁদের ঘরে শ্যুট করা হয়েছিল। তাহলে আজ কেন সিবিআই তদন্ত চাইছে? কারণ সিবিআই অপরাধীদের রক্ষা করে। নাহলে গদ্দার অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রানে এবং অজিত পাওয়াররা এখনও কীভাবে বাইরে আছেন?
আরও পড়ুন-এক যে ছিলেন রাজা
এরই মধ্যে সন্দেশখালি নিয়ে ফের নতুন অভিযোগ আনছে বিজেপি। তারা বলছে, সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সভার পরই বিপলু পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির এই অভিযোগ পত্রপাঠ উড়িয়ে তৃণমূল পালটা বলেছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। কোথাও কিছু ঘটলেই সেটা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।