দেশের গণতন্ত্রকে কার্যত সার্কাসে পরিণত করে নির্বাচনের কারচুপি চালাচ্ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গোটা বিষয়টা সর্বসমক্ষে তুলে ধরতেই পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা মোদি সরকারের। সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এই বিষয়ে আলোচনার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদরা। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এত বড় ইস্যুতেও কোন আলোচনার অনুমতি দিলেন না রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। প্রতিবাদে ওয়াক আউট তৃণমূল সাংসদদের।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এপিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার পরেই দিল্লিতে এই ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদদের সরব হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই মতো সোমবারের সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ডুপ্লিকেট এপিক নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সংসদরা। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নয়, রাজ্যসভায় এই ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল একাধিক বিরোধী দলও। কিন্তু আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায় ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদরা।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় স্পিকারের সঙ্গে অভব্য আচরণ! মার্শাল দিয়ে বের করা হল বিজেপির ২ বিধায়ককে
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডুপ্লিকেটের বিষয়টি একটি জ্বলন্ত সমস্যা। বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রে ভোটার কার্ড নিয়ে সমস্যা কখনই অবহেলার নয়। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নয়, একাধিক রাজনৈতিক দল বিষয়টি তুলেছে। রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরুতেই ২৬৭-তে নোটিশ দিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়। একাধিক প্রমাণ রয়েছে। সেই প্রমাণ তুলে ধরেই আলোচনার দাবি জানানো হয়।
কেন্দ্রের সরকারকে ঋতব্রতর প্রশ্ন, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা সংসদ ছাড়া আর কোথায় হবে? কিন্তু সরকার এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় রাজি নয়। সংসদ অর্থাৎ গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ জায়গায় এই আলোচনা করতে না দেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকার যে কোনো বড় ইস্যু থেকেই আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, এটা তার প্রমাণ। এরই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন তৃণমূল সাংসদরা।