প্রতিবেদন : আগামী ১২ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি আসনের উপনির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি৷ শনিবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করে লিখিত অভিযোগ জানাল তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ প্রত্যেকবার ভোটমুখী কেন্দ্রে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়, তখন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়ক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে৷ এটাই নির্বাচন কমিশনের রুল৷ এবার রাজ্যের ৬টি আসনের উপনির্বাচনের আগে রাজ্যে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নেয়নি৷ শুধু তাই নয়, যেসব এলাকায় শান্তি বজায় রাখার কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেইসব এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গেছে৷ ভোটারদের প্রভাবিত করেছে, বিজেপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে৷ এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের রীতি মেনে চলার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে নির্দেশ দিতে হবে বলেও দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে৷ তৃণমূল প্রতিনিধি দলে ছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার দুই দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ’ও ব্রায়ান৷ সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সাকেত গোখলে ও লোকসভা সাংসদ কীর্তি আজাদ৷
একইসঙ্গে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি, বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সম্পর্কেও৷ নিজে জনপ্রতিনিধি, সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভের অপমান করছেন সুকান্ত মজুমদার, নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দ্রুত হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে৷ সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের কর্মী, আধিকারিকদের বলেছিলেন, তাদের উর্দিতে থাকা অশোকস্তম্ভ খুলে ফেলে চটি চিহ্ন লাগাতে৷ বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও আইন বিরুদ্ধ বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে আসার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীভাবে অশোকস্তম্ভকে অপমান করেন? এর জন্য তাঁকে শো-কজ করা হোক৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বরখাস্ত করুন৷ এই ক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ জাতীয় প্রতীকের অবমাননার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে, নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: একাধিক কর্মসূচি সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী