প্রতিবেদন: সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশনের মত আসন্ন বাজেট অধিবেশনেও বাংলার মানুষের নিত্যদিনের ইস্যু নিয়েই সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। বৃহস্পতিবার দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে একথা৷ শীতকালীন অধিবেশনের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাংলার ন্যায্য পাওনা বিপুল পরিমাণ বকেয়া টাকার দাবিতে সংসদের উভয় কক্ষে সরব হতে হবে দলের সাংসদদের৷ এর পাশাপাশি সারের দাম বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বর মত জ্বলন্ত ইস্যু নিয়েও সরব হতে হবে তাঁর দলের সাংসদদের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই সেই ভাবে সংসদের উভয় কক্ষে মনরেগা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ বাংলার বকেয়া টাকার দাবিতে সুর চড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা৷
আরও পড়ুন-তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বেও তৃণমূল সাংসদরা একইরকমভাবে সুর চড়াবেন। বাংলার মানুষের ন্যায্য দাবিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে৷ এদিকে, সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে সরকার৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বৈঠকে যোগ দেবেন দলের দুই সংসদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়ান৷ জানা গিয়েছে, সর্বদল বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সংসদীয় নেতা সাফ দাবি জানাবেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদ পরিচালনা করা হোক৷ মোদি সরকারের কার্যকালে যেভাবে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে একের পর এক বিল পাস করে নেওয়া হয়, সেই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। এবারের অধিবেশনেও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারেন৷ কয়েকটি কমন অ্যাজেন্ডা ছাড়া কোনও মতেই কংগ্রেসের সুরে সুর মেলানো হবে না, বুধবার সাফ দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূল সূত্রে৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে আয়োজিত বিরোধী বৈঠকে যোগদানের প্রশ্নেও দল ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।