উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বৃহস্পতিবার, কালীঘাটে দলীয় বৈঠকের মাঝে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানান, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের ৮৫ শতাংশ সাংসদই এই বিষয়ে একমত। এনডিএ প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সমর্থন করা হবে না। পাশাপাশি, আলোচনা না করেই বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। সুতরাং মারগারেট আলভাকেও সমর্থন না করে ভোট দানে বিরত থাকবে তৃণমূল।
একুশে জুলাইয়ে সভা সেরে বিকেল চারটে নাগাদ কালীঘাটে বাড়িতে দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা বৈঠকে অংশ নেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানান, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল। সাংসদরা এই মতামত দিয়েছেন। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকেই বলেন তৃণমূলে নাকি গণতন্ত্র নেই! এদিন দলের সাংসদদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-দলের নামে কোনও টাকা তোলা যাবে না, টাকা তুললে থানায় যান, কর্মীদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেকের
উপরাষ্ট্রপতি ভোটে অংশ নেন শুধুমাত্র লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। এখানে বিধায়কদের ভোটের অধিকার নেই। লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ৩৬। অভিষেক জানান, রাজ্যপাল থাকাকালীন যেভাবে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে অকারণে দোষারোপ করেছেন ধনকড়, সেখানে তাঁকে সমর্থন করা হবে না। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তৃণমূল ভোট না দিলে কী ধনকড়ের সুবিধা হবে? জবাবে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, সংখ্যা তত্ত্ব দিয়ে বোঝাতে পারবেন, কীভাবে সুবিধা হবে! এরপরেই তৃণমূল সাংসদ বলেন, ইভিএম-ও নোটা-য় ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে। তার মানে এই নয় যে, আমি ভোট দিতে ইচ্ছুক নই। এর অর্থ আমার প্রার্থী পছন্দ হয়নি। মারগারেট আলভার সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। কিন্তু দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কের ভিত্তিতে হয় না। অভিষেক এটাও স্পষ্ট করে দেন, যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল ভোটদানে বিরত থাকবে মানে, তারা বিরোধী জোট মানছে না তাও নয়। কিন্তু যেভাবে সবার মত না নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন হয়নি, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।