প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের মুখে বড় সাফল্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের। গত ২ মাসে এক লক্ষেরও বেশি সদস্য বাড়ল সংগঠনের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী। ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিলাদের জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সংখ্যা বৃদ্ধি সেই সব প্রকল্পের ফল বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-ঘরে বসে নির্দেশ নয়, মাঠে নেমে জনসংযোগ করুন : অভিষেক
প্রথমটি ৪৫ দিনের পাড়া বৈঠক। আর দ্বিতীয়টি ছিল চল পাল্টাই মিছিল। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি এই দুই কর্মসূচিতে গোটা রাজ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তারই নিট ফল এই সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি। এই সময়সীমার মধ্যে নতুন করে মহিলা তৃণমূলে যুক্ত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মহিলা। সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সংগঠনের সদস্যসংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এই মহিলারা লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ঘরে ঘরে গিয়ে মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও মোদির জিরো গ্যারান্টি নিয়ে নিয়মিত প্রচার চালাবেন। সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই দুই কর্মসূচিকে সফল করতে কোচবিহার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জঙ্গলমহল থেকে লালমাটির এলাকা, চষে বেড়িয়েছেন গোটা রাজ্য। অংশ নিয়েছেন পাড়া বৈঠকে। এই পাড়া বৈঠকেই কোথাও বুথ প্রতি ১ জন, কোথাও বা ২ জন, কোথাও ৩ জন মহিলা নতুন করে সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন। এভাবেই শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে সংগঠনের। নারীর ক্ষমতায়নে সব সময়ই জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এটা তারই ফসল বলেই মনে করছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। সর্বশেষ বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতার অঙ্কও বাড়ানো হয়েছে। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সেই বাড়তি টাকা এর মধ্যে ঢুকতে শুরু করেছে। এতে উচ্ছ্বসিত গোটা রাজ্যের মহিলারা। তাঁরা দুহাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করছেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।