প্রতিবেদন : সমবায় ভোটে হেরে খুনের রাজনীতি শুরু করল বিজেপি। নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল (TMC) কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে। রবিবার তমলুক সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে থেকেই বিজেপি হিংসা শুরু করেছিল। বিজেপি পরাজয় মানতে না পেরে হিংসার পথ বেছে নিল। বিষ্ণুপদ মণ্ডলের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের হয়ে ফের কাজ করবেন প্রবীর! জানালেন দলনেত্রী
অভিযোগ, রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে বিজেপি কর্মীদের সশস্ত্র বাহিনী চড়াও হয় তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের বাড়িতে। বাড়ি থেকে টেনে এনে ভোজালি দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। বেধড়ক মারধর করা হয় বিষ্ণুর দাদা বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডলকেও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। গুরুতর জখম গুরুপদকে ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রবিবার তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভোটে গোহারা হারে বিজেপি। ভোটে হারার পর সেই উত্তেজনার পারদ আরও ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম এক এবং দুই নম্বর ব্লকে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী হয়। সেই জয়ের দম্ভ পর্যবসিত হয় ভোট পরবর্তী প্রতিহিংসায়। আর সেই তাণ্ডবের শিকার হন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামের তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতী ও খুনিরা নন্দীগ্রামের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে। নন্দীগ্রামের মানুষ এবার হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছে বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক শক্তি ও খুনিদের দল। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে তৃণমূল। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছি না। সামান্য একটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে হেরে তাই প্রতিহিংসার পথ ধরেছে। আগামী দিনে তার খেসারত দিতে হবে ওদের। ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, নন্দীগ্রামে বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল। বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডলের ভাই। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করি। সব দোষীকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। বিজেপি যে হামলা করবে, সেই আশঙ্কা ছিল। পুলিশকে লিখিতভাবে জানানোও হয়েছিল। তারপরেও বড়সড় তাণ্ডব করেছে বিজেপি। একাধিক সাংবাদিকও জখম। দোষীদের ধরুক পুলিশ।