খেটে খাওয়া গরিব মানুষের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘৃণ্য বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের দীর্ঘ ১১ দিনের ঐতিহাসিক গণধরনা কর্মসূচি শেষ হল সোমবার। শেষদিনেও রেড রোডের ধরনামঞ্চ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪২-এ ৪২ করার বার্তা দিলেন ধরনার ১১তম দিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল অন্তিমলগ্নের ধরনামঞ্চ। গত ২ ফেব্রুয়ারি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল এই ঐতিহাসিক গণধরনা। বিগত দশদিনের মতো এদিনও রেড রোডের ধরনামঞ্চ সংলগ্ন এলাকা উপচে পড়ল দুই বর্ধমানের তৃণমূলকর্মী ও খেটে খাওয়া বঞ্চিত মানুষের ভিড়ে। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, প্রদীপ মজুমদার, দুই বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ দুই জেলার বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধি ও অসংখ্য দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীরা। মন্ত্রী মলয় ঘটক এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ কোটি টাকার বঞ্চনার শিকার হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে সাবলম্বী করতে ৭৪টা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করছে। কারণ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে মানসিকতার তফাৎ আছে। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সংযোজন, দিল্লির স্বৈরাচারী সরকার গরিবের যে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই টাকা রাজ্যের তহবিল থেকে দিচ্ছেন। সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, সবসময় শুধু শকুনের মতো তৃণমূলের দোষ খুঁজে বেড়ায় বিজেপি। আর ভোটের সময় পরিযায়ী পাখির মতো ভোট চাইতে আসে। প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক বলেন, বিজেপি সরকার মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ওরা জানে না এটা বাংলা, এখানে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি টেকে না।
আরও পড়ুন- সমুদ্রসাথী : পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সভা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় মৎস্যজীবীদের ঢল