প্রতিবেদন : ১০ মার্চ ব্রিগেডে ঐতিহাসিক জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জনগর্জন সভার আগে জেলায় জেলায় জেলায় চলছে জোর প্রস্তুতি। হাতে সময় মাত্র এক সপ্তাহ, তাই এখন এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে উঠে পড়ে লেগেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্য জুড়ে আগামী ১০ দিন ধরে ৫০০-রও বেশি সভা-মিছিল হবে। প্রতি ব্লকে এবং প্রত্যেক পুরসভা এলাকায় ১টি করে সভা করবে তৃণমূল। সেই সঙ্গে থাকবে গ্রাম ও শহরের ব্লকে ব্লকে মহা ব্রিগেডের সমর্থনে মিছিল-মিটিং। ৯ মার্চ অবধি এই প্রচার চালানোর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি পোস্টার লাগানো হবে। শনিবার তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’র সমর্থনে উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল হয়। সেখানে পা মেলান প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ দুই কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী ও শচীন সিং।
আরও পড়ুন-মোদি কি গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টি
এছাড়াও মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন ওয়ার্ডের আট থেকে আশি সকলেই। বিশাল এই মিছিল থেকে ব্রিগেডের ১০ মার্চের সমাবেশকে বৃহত্তম সভায় পরিণত করার ডাক দেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। ব্রিগেডের প্রস্তুতি নিয়ে কাটোয়ায় জোড়া সভা করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিনের সভা থেকে কাটোয়া ২ নং ব্লকের পলসোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৪৩ জন বিজেপি ও সিপিএম থেকে যোগ দেন তৃণমূলে। এছাড়াও কাটোয়ার রোন্ডা গ্রাম থেকে প্রায় ৩৭২ জন সিপিএম ও বিজেপি কর্মী-সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের সরিষাতে কর্মিসভা হয়। জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া দুই নম্বর ব্লকে জনগর্জন সভা হয় এদিন।
আরও পড়ুন-শিবরাত্রি ব্রতেই হবে মোক্ষলাভ
সভা হয় বালিতেও। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি কৈলাস মিশ্র। পাশাপাশি, কোচবিহার, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলাতেই এই ধরনের কর্মসূচি চলছে লাগাতার। কেন্দ্রের নিকৃষ্টতম বঞ্চনায় বঞ্চিত বাংলার গরিব মানুষেরাও। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি হোক কি আবাস যোজনার টাকা, তা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার, এই সবকিছুর বিরুদ্ধেই আগামী ১০ মার্চ গর্জে উঠবে বাংলা।