প্রতিবেদন : শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি-শাসিত মণিপুরের চরম লজ্জার ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর ৭৯ দিন বাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নামমাত্র দুঃখপ্রকাশ করলেও নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য পাল্টা হাতিয়ার করেছেন বিরোধী-শাসিত বেশ কিছু রাজ্যের বিচ্ছিন্ন ঘটনার দিকে। রাজস্থান, বাংলা, বিহারের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিয়ে লম্ফঝম্প করতে আসরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী, সাংসদদের। অগ্নিগর্ভ মণিপুরকে লঘু করতে গিয়ে ভুল কৌশল নিয়েছে মোদির দল। এবার সে প্রসঙ্গেই সামাজিক মাধ্যমে নির্লজ্জ বিজেপিকে জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য তুলে ধরে দেখানো হল, বিজেপি-শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিতে মহিলা সুরক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন-অরূপের সুচারু সঞ্চালনা প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে
এনসিআরবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপি শাসিত অসম রয়েছে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনার নিরিখে সর্বোচ্চ স্থানে। শুধু তাই নয়, গত ৯ বছরে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে সামগ্রিকভাবে সারা দেশে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ১৫.৩ শতাংশ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র এক বছরেই অর্থাৎ ২০২০ সালে যেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার মামলা হয়েছিল ৩.৭১ লাখ সেখানে ২০২১ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৮ লাখে। ন’বছরে দেশে মহিলাদের উপর অপরাধপ্রবণতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন-প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে যেখানে মহিলাদের সঙ্গে ঘটা অপরাধ ছিল ৫৬.৫% শতাংশ, তা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ৬৪.৫ শতাংশ। মহিলাদের সঙ্গে ঘটা অপরাধের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শুধুমাত্র বিগত পাঁচ বছরেই মোদি-শাহের রাজ্য গুজরাত থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ৪০ হাজার মহিলা। তৃণমূল কংগ্রেসের সামাজিক মাধ্যমে জাতীয় স্তরের সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বারবার বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি হাতিয়ার করছে বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে। চাপে পড়ে মণিপুরের হিংসাকে লঘু করে দেখাতে রাজনৈতিক কুৎসার আশ্রয় নিচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল।