প্রতিবেদন : মনোবল তুঙ্গে রেখে এবার সর্বাত্মক অভিযানে নামবে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় দুর্গ অটুট রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্যই হল দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করা। বিজেপির এজেন্সি পলিটিক্স ও বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখিয়ে দেবে বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসেরই। বক্তব্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা তৃণমূলের
শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠকে দলনেত্রীর বক্তব্যে চাঙ্গা গোটা দল। গোটা দলকে দৃপ্তকণ্ঠে নেত্রী বললেন, চিন্তা করবেন না, আমরাই জিতব। সব জায়গায় জিতেছি। ভবিষ্যতেও জিতব। আসানসোল জিতেছি। অন্যান্য জায়গাতেও জিতেছি আমরা। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। সাগরদিঘির নির্বাচন আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সেখানে অশুভ আঁতাঁত করেছিল। কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও পরিস্কার হল। বক্তব্য নেত্রীর।
আরও পড়ুন-বাংলায় ফিরল টাটা
সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিকে বাংলার ঘরে ঘরে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে হবে। দিদির দূত কর্মসূচি খুবই ভাল হয়েছে। আরও করতে হবে। নির্দেশ দলনেত্রীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েই জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি করে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে। আমি এখনও রাস্তায় লোকের সঙ্গে কথা বলি। আপনাদের চায়ের দোকানে বসে কথা বলতে অসুবিধা কোথায়? বেশি করে গ্রামের মানুষের কাছে যান। তাদের অভাব-অভিযোগ, সুযোগ-সুবিধা জানুন। সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিকে সপল করুন। ঘাবড়ানোর কোনও ব্যাপার নেই। গর্বের সঙ্গে বলতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস করি। নেত্রীর বক্তব্যে চার্জড-আপ গোটা দল।
আরও পড়ুন-বাংলায় ফিরল টাটা
এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বলেন, দিদির দূত কর্মসূচি কেমন হয়েছে অভিষেক বলবে। এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকজনকে নতুন করে কয়েকটি জেলার দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে আনা হল তরুণ তুর্কি ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদির দূত কর্মসূচিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এদিন দলীয় শৃঙ্খলা ও যথাযথ কর্মসূচি পালনেও জোর দেন অভিষেক। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিষেক বলেন, ঠিক সময়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে। দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, আপনারা জেলায়, ব্লকে যেরকম কাজ করছেন, করে যান। আপনারা দলের কাজ মন দিয়ে করুন। আরও বেশি করে মানুষের কাছে যান। সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আরও একটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি, যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সরকারি পরিকাঠামোর সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামতে হবে। এদিন বক্তব্য রাখেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষও।