সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : শনিবার শিলিগুড়ির দাগাপুর এলাকায় শ্রমিক ভবনে চা-বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন চা-বাগানের মালিকপক্ষ-সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna) এবং রাজ্য শ্রম দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু চা-বাগানগুলির মালিকরা অনড় থাকায় শনিবার আয়োজিত এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও চা-শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমস্যা মেটেনি। তবে বৈঠকের মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna)।
বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকরা দৈনিক ২০২ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। রাজ্য সরকার মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের ওই মজুরি ১০ টাকা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানায়। কিন্তু মালিকপক্ষ চা-শ্রমিকদের ২১০ টাকার বেশি মজুরি দিতে রাজি নয়। শনিবার বিষয়টি সমাধানের জন্যই দীর্ঘক্ষণ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে রাজ্য শ্রম দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের। তবে শেষ পর্যন্ত বৈঠকে মজুরি নির্ধারণ নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হয়নি। যদিও বৈঠকের পর শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, শনিবারের বৈঠকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে মালিকপক্ষ সকলেই সহযোগিতা করেছে। তবে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। এ জন্য একটু সময়ের দরকার। আমরা চাই শ্রমিকরা তাঁদের প্রাপ্য ন্যূনতম মজুরি পান। সরকারের নীতি হল রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। সেই সঙ্গে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাও আমাদের লক্ষ্য। সেই জায়গায় পৌঁছতে গেলে আমাদের আরও কয়েক ধাপ আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমি আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়ি শ্রমিকদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলা যাবে। চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য বর্ধিত মজুরিও চালু হয়ে যাবে।