২০১৯ লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার জন্য “দিদি কে বলো” কর্মসূচি নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলাকে দেখাদেখি পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও একই পথে হাঁটতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পিছনে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের
অথচ, একটা সময় বাংলায় এই ভারতীয় জনতা পার্টি “দিদি কে বলো” কর্মসূচিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। এখন তাদেরই শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেই পথ নকল করে একই কর্মসূচি নিয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সেই একইভাবে হেল্পলাইন চালু করেছেন। ১৯০৫ এই নম্বরে সরাসরি ফোন করে ত্রিপুরাবাসী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিজের সমস্যার কথা জানতে পারবেন। চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে চালু হতে চলেছে এই বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। যেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করতে পারবেন ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ।
মনে করা হচ্ছে, “দিদি কে বলো” সাফল্য দেখে ত্রিপুরা সরকারের এই পদক্ষেপ। তবে এই হেল্পলাইন চালু করার কারণ হিসাবে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে যে আসলে বিপ্লব দেবের জনপ্রিয়তা আগের থেকে অনেক কমে যাওয়ার কারণে এই প্রচার শুরু করছে ত্রিপুরা সরকার। তেইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ত্রিপুরাকে পাখি চোখ করার ফলে এমন উদ্যোগ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে এই হেল্পলাইন নম্বর চালু হলে মানুষ কত লটা সুবিধা পাবে, সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, এর আগেও বিপ্লব দেবের হোয়াটসঅ্যাপ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখাননি ত্রিপুরাবাসী। তবে এবার হেল্পলাইন নম্বর চালু করায় চিত্রটা কি পরিবর্তন হবে? মাস কয়েক আগেই বিপ্লব দেব একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছিলেন। যার নম্বর ছিল ৮৭৯৪৫৩৮৫০১। কিন্তু সেই কর্মসূচি এখন ঘরে। তাই এই নতুন হেল্পলাইন ১৯০৫ জারি করার নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।