প্রতিবেদন : একদিকে বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ত্রিপুরা আসতে হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, এদিকে আগরতলা পুরভোটের সমস্ত আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার আগরতলায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ঘোষণা করেন, আগরতলা পুরসভা নির্বাচনে ৫১টি আসনেই লড়াই করবে তৃণমূল প্রার্থীরা। তাঁর কথায়, “বাংলায় তৃণমূল মানুষের রায় নিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের নিরিখে কলকাতা সহ বাংলার পুরসভাগুলিও এখন তৃণমূলের দখলে। গোটা আগরতলা পরিবর্তন চাইছে। কলকাতার মতো উন্নত পরিষেবা চাইছে আগরতলা। ত্রিপুরাতেও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। মানুষ তাঁদের রায় দেবেন। আর আগরতলার ৫১ আসনে প্রতিটিতে প্রার্থী দেবে তৃণমূল।” শুধু তাই নয়, কুণাল ঘোষের দাবি, আগরতলার প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের চারজন-পাঁচজন প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্য। প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলছে তৃণমূলের মধ্যে। প্রার্থী একজনই হতে পারবেন, কিন্তু সার্বিকভাবে এই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা দলের সংগঠনের জন্য একটি ভালো দিক।
আরও পড়ুন : দিল্লির ‘দাদাগিরি’ চলবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপরই কুণাল ঘোষ বলেন, “কিছুদিন আগে যারা বলেছিলেন, তৃণমূল কোথায়? এখন তারা তৃণমূলের চাপ বুঝতে পারছেন। ফলে রাজ্যের নেতা দিয়ে আর হচ্ছে না, পুরসভা ভোটেও দিল্লির নেতাদের ডাকতে হচ্ছে। মিলিয়ে নেবেন কয়েক দিনের মধ্যেই পুরসভা ভোটের আগে আগরতলায় দিল্লির বিজেপি নেতা আসবেন। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। বাংলায় ডেইলি পাসেঞ্জারি করেও তৃণমূলকে রুখতে পারেননি। ত্রিপুরাতেও পারবেন না।” কুণাল ঘোষ আরও বলেন, মানুষ বিজেপির বিকল্প হিসেবে তৃণমূলকেই চাইছেন। তাই দলে দলে তৃণমূলে যোগদান চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ত্রিপুরা আসার আগেও এদিন সুবল ভৌমিক, সুস্মিতা দেবের হাত ধরে অন্য দল থেকে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পরিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
এদিন কুণাল ঘোষ ত্রিপুরাবাসীর কাছে আবেদন করেন, বিজেপিকে রুখতে অন্য কোনও দলকে ভোট নয়। বাম-কংগ্রেস এ রাজ্যে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে ডাহা ফেল। তাই তাদের ভোট দেওয়া মানে সেই ভোট নষ্ট করা। একটিও ভোট নষ্ট না করে বিজেপিকে রুখতে ত্রিপুরার মানুষকে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।