পূর্ণেন্দু রায়, নয়াদিল্লি : সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার একাধিক আইনজীবী, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিংয়ের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-এ অভিযোগ দায়ের করার ত্রিপুরা পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এদিন সকালে ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে আবেদনটি উল্লেখ করেছিলেন। প্রথমে প্রধান বিচারপতি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আবেদনটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের সামনে দাখিল করা যেতে পারে। কিন্তু আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জরুরি বিবেচনা করে বিষয়টি শুনানির জন্য বেঞ্চকে অনুরোধ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি তখন অনুরোধটি গ্রহণ করেন এবং শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হন।
আরও পড়ুন : আরও মামলা, রামায়ণ হাতে আগরতলায় কুণাল
সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুলিশ সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিং এবং আরও কিছু সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য মামলা দায়ের করেছে। শ্যাম মীরা সিং, তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত এফআইআর বাতিলের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। সিংয়ের মতে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার তাঁর ট্যুইটের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ অভিযোগ তুলেছিল। যে ট্যুইটে বলা হয়েছিল, ত্রিপুরা জ্বলছে। অনুরূপ ‘উসকানিমূলক পোস্ট’-এর জন্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এহতেশাম হাশমি, অমিত শ্রীবাস্তব, আনসার ইন্দোরি এবং মুকেশ কুমারকেও ইউএপিএ-র ধারায় নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ফলাফল পোস্ট করার আগে চার আইনজীবী রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে একটি তথ্য অনুসন্ধান তদন্তে অংশ নিয়েছিলেন। তদন্ত শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হিংসার ঘটনা অক্টোবরে দুর্গাপুজোর সময় এবং পরে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দায় সরব দলগুলির প্রতিবাদী কর্মসূচির সময় ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ এই দাবিগুলি অস্বীকার করে। উল্টে এই ঘটনার দায় চাপায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উপর। এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার সংবাদ কভারেজ দমন করতে কঠোর আইন প্রয়োগে ত্রিপুরা পুলিশের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে।