প্রতিবেদন : ত্রিপুরায় (Tripura) বিপ্লব দেবের (Biplab Dev) সরকারকে সন্ত্রাস নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Suprime Court)। তাও গেরুয়া সন্ত্রাস অব্যাহত। নীরব দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ।
ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল। এবার আগরতলার (Agartala) ১১ নম্বর ওয়ার্ড। পুরভোট উপলক্ষে বিরোধী তৃণমূলের পতাকা, ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করেছে এক তৃণমূল কর্মীকে। ওই তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে জিবি হাসপাতালে (GB Hospital) ভরতি। তাঁর চোখের আঘাত বেশ গুরুতর।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আগরতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন শেখর দেববর্মা নামে ওই তৃণমূল কর্মী। সেই সময় বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির কনভেনর সুবল ভৌমিক (Subal Bhowmik)। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এখানেই শেষ নয়। ত্রিপুরা পুরভোটে বিজেপির গুণ্ডাদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের তিন মহিলা প্রার্থীকে। আগরতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মা ভট্টাচার্য, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পান্না দেব ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী আল্পনা দেববর্মা গেরুয়া সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় জনসংযোগ, প্রচারে ও সংগঠিন বিস্তারে গিয়ে গত কয়েক মাসে একের পর এক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের। জেট প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবকে পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিপ্লব দেব সরকার। পুলিশে অভিযোগ করেও লাভ তো হচ্ছেই না বরং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।
আরও পড়ুন : Breaking : লুইজিনহোকে বড় দায়িত্ব দিচ্ছে দল
গত, বুধবার রাতে আগরতলা পুরভোটে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অপর্ণা বিশ্বাস ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পৌষালি দত্তের বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে, নিগৃহীত হয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। এর আগে তৃণমূল প্রার্থী সোমা দাস, সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সংহিতার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের পরিবারের লোকেদের উপর হামলা ও অপহরণের অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষে।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনও রাজনৈতিক দলই যেন বাধা না পায়, সেই মর্মে ত্রিপুরা সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখানেই শেষ নয়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কীভাবে পালন হচ্ছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট ত্রিপুরা পুলিসের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে দু’সপ্তাহের মধ্যে যৌথভাবে আদালতের সামনে পেশ করার নির্দেশ জারি হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও ত্রিপুরা জুড়ে গেরুয়া সন্ত্রাস অব্যাহত।