তুহিনশুভ্র আগুয়ান, হলদিয়া: কথায় আছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। হাতে অল্প ছুটি পেলেই ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরের ডেস্টিনেশন দিঘা বা দার্জিলিং। কিন্তু শান্ত নিরিবিলি নদীর ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে ছুটি কাটাতে বরাবরই শহুরে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির ডেস্টিনেশন হয় শহর থেকে একটু দূরের নদীর তীরে গেঁওখালি। হুগলি, হলদি ও রূপনারায়ণ নদীর সংযোগস্থলে গেঁওখালিকে বলা হয় ত্রিবেণী সঙ্গম। নদীর প্রায় গায়ে রাত্রিযাপনের আনন্দ দিতে এবার সেই গেঁওখালির মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে গেঁওখালিতে গড়ে উঠেছে ত্রিস্রোতা। যেখানে ঘর থেকেই দেখা যাবে নদী। তার সান্নিধ্যে নিশ্চিন্তে রাত্রিবাস করতে পারবেন পর্যটকরা। কয়েকদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চালু হয়ে যাবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের এই লাক্সারি রিসর্ট ত্রিস্রোতা।
আরও পড়ুন-এবার সংসদ উত্তাল হবে আদানি-কাণ্ডে, আজ অধিবেশন শুরু
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, এই রিসর্টে রয়েছে ১১টি ঘর, কনফারেন্স রুমও। অফিস কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের সভা বা পিকনিক করা যাবে এখানে। ২০০০ টাকায় শুরু শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরের ভাড়া। পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যাবে। পাশেই রয়েছে সুসজ্জিত ত্রিবেণী রিসর্ট। ছুটির মরশুমে পর্যটকপূর্ণ হয়ে ওঠে ত্রিবেণী। তাই পর্ষদের তরফে পাশেই এই ত্রিস্রোতার পরিকল্পনা করা হয়। ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন নির্মাণের পর এখন পর্যটকদের জন্য নিজের দুয়ার খুলে দিতে প্রস্তুত। বাইরে রয়েছে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও। করা যাবে বন ফায়ার। নদীর মাছ কিনে নিজেরাই বানাতে পারবেন রকমারি পদ। পাশের একটি ৬ একরের পুকুরকে সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বোটিং চালু হবে খুব শীঘ্রই। কয়েক হাত দূরেই উদ্যানে মিলবে দোলনা থেকে স্লিপার সমস্ত কিছু। আগামী দিনে গেঁওখালিতে আসা পর্যটকদের নিয়ে ট্যুর প্যাকেজ করার পরিকল্পনাও রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল, তমলুক রাজবাড়ি, গেঁওখালির খ্রিস্টান পল্লি ও হলদিয়া বন্দর নিয়ে হবে এই ট্যুর প্যাকেজ। ফলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা।