সংবাদদাতা, হাওড়া : ফের হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় (Howrah – Bardhaman Chord Line) বন্ধ একাধিক লোকাল ট্রেন। শুরু হয়েছিল রবিবারই। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনই বেশ অসুবিধের মুখোমুখি হলেন যাত্রীরা। কিছু ট্রেন বন্ধ ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবার কিছু ট্রেন বন্ধ টানা দু’মাস ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফলে নাকাল হতে হচ্ছে ওই শাখার বহু যাত্রীকে। হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানের বহু মানুষকে ঘুরপথে কলকাতা যেতে হচ্ছে। নিত্যযাত্রী থেকে ব্যবসায়ী, নাজেহাল সকলেই। কলকাতা থেকে জিনিসপত্র আনতে না পেরে ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন শহরতলির অনেকে। এইভাবে লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়ায় যাত্রীরা রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় বারুইপাড়া, কামারকুন্ডু ও চন্দনপুর স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলার কারণে ওই শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জোড়া হাওড়া-বর্ধমান লোকাল ও ৪ জোড়া হাওড়া-মশাগ্রাম লোকাল ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল থাকবে। এই ক’দিন দু-জোড়া শিয়ালদহ-বর্ধমান লোকালও বাতিল থাকবে। এ ছাড়াও ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দুমাস বাতিল থাকবে ৪ জোড়া হাওড়া-বর্ধমান ও হাওড়া-চন্দনপুর লোকাল এবং ১ জোড়া হাওড়া-গুড়াপ লোকাল বাতিল থাকছে। রেলের আচমকা এতদিন ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, এমনিতেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় (Howrah – Bardhaman Chord Line) ট্রেন কম। তার ওপর এতদিন একসঙ্গে এতগুলি ট্রেন বাতিল করে দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠছে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে নাজেহাল হয়েছেন বহু যাত্রী— আমাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই রেল একতরফাভাবে লোকাল ট্রেনগুলি বাতিল করল। মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টা একবারও ভাবল না। এদিকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘রেল পরিষেবার মান আরও বাড়াতেই নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। সে কারণেই বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে।’