প্রতিবেদন: খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। প্রামাণ্য নথি ছাড়াই একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী রাজনীতিকরা। নিজের দেশে ক্ষমতায় থাকার স্বার্থেই যে ভারত-বিরোধী খালিস্তানপন্থী শক্তিকে মদত দিচ্ছেন ট্রুডো, সে বিষয়টা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার ঝুঁকি নিয়েও কানাডার খালিস্তানপন্থী রাজনীতিকদের সমর্থন পেতে তাঁদের তোয়াজ করে চলেছেন তিনি। এই নিয়ে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর এবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের দলের ভেতরেই প্রবল চাপে পড়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ আনার পর এবার ঘরের মাঠেই তাঁর দলেরই একাধিক সাংসদ তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে। সূত্রের খবর, লিবারেল দলের কিছু সাংসদ ট্রুডোকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে, ফল ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন-কালীপুজো আসছে, কাগজের জবার মালা গড়তে ব্যস্ত কালনার মহিলারা
দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এরপর তাঁর দলের একাধিক সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং জানিয়েছেন যে লিবারেলরা এখনও ঐক্যবদ্ধ। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁর দলের প্রায় ২৪ জন সাংসদ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। বিশেষত ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সাংসদ প্যাট্রিক ওয়েইলার একটি নথি জমা দিয়ে সরাসরি ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। ঘরে-বাইরে এহেন চাপের মুখে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থক কানাডার প্রধানমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।