গাড়ি আমদানি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের উপর ২৫% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের

Must read

প্রতিবেদন: গাড়ি আমদানি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump)। গত কিছুদিন ধরে শুল্ক আরোপের ঘোষণা নিয়ে বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এই নতুন শুল্ক হার ঘোষণা তাতে নতুন করে ঘৃতাহুতি দেবে। এদিকে ওভাল অফিসে বসে ওই আদেশে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেন, আমরা যা করতে চলেছি সেটা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নয় এমন সমস্ত গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা।
বিদেশে তৈরি গাড়ি ও হালকা ওজনের ট্রাকের উপর এই শুল্কের প্রভাব পড়বে সর্বাধিক। গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের উপরেও এর প্রভাব পড়বে। জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য-অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো ও চিনের উপর নতুন করে আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় টাটা মোটরসের শেয়ার বৃহস্পতিবার তীব্রভাবে পড়ে যায়, প্রাথমিক লেনদেনে দর প্রায় ৬ শতাংশ কমে যায়। এদিন সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির শেয়ার ৫.২৬ শতাংশ কমে ৬৭০.৭০ টাকায় লেনদেন হয়। ভারতীয় অটোমোবাইল ক্ষেত্রে এই পতন বিশেষভাবে সেইসব কোম্পানির উপর প্রভাব ফেলেছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রফতানি করে।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার-এর মালিক টাটা মোটরস ট্রাম্পের নতুন শুল্কবৃদ্ধির ঘোষণার জেরে চাপে পড়তে পারে। কারণ এই কোম্পানির ২০২৪ সালের মোট বিক্রির এক-তৃতীয়াংশ উত্তর আমেরিকা থেকে আসে, যার মধ্যে ২২% মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। নতুন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে আয় এবং মুনাফার মার্জিনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা ভারতের বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে, যা শেয়ার দরের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। ট্রাম্পের বাণিজ্য পরিকল্পনা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং এর ফলে মন্দা দেখা দিতে পারে, এমন উদ্বেগও আর্থিক বাজারগুলিকে নাড়া দিয়েছে। শুল্কের কী প্রভাব পড়তে
চলেছে, সেই আশঙ্কা থেকে গত কয়েক মাসে ভোক্তাদের আস্থাও হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সরকারের
রাজস্ব আয় বাড়ানো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাতকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং বিভিন্ন দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে এই শুল্ক আরোপ হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি আমদানিতে শুল্ক আরোপের
ফলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, মেক্সিকো ও জার্মানির মতো ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের সঙ্গেও আমেরিকার সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরির আশঙ্কা।

আরও পড়ুন-উপযুক্ত জবাব পেল গণশত্রুরা, অক্সফোর্ড কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঘুরে দেখলেন পায়ে হেঁটেই

Latest article