প্রতিবেদন: উনি ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ? ভোটে ফায়দা পেতে এখন কোন পরিচয়টা রাখবেন সামনে? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যুদ্ধ থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়াতেই ডেমোক্রাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী তথা আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে এভাবে সরাসরি আক্রমণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের এই মন্তব্যে স্পষ্টতই বর্ণবিদ্বেষের ছায়া। এমন মন্তব্যকে ঘিরে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড়।
আরও পড়ুন-রিপোর্ট পাওয়ার পরই পদক্ষেপ : আইনমন্ত্রী
বুধবার একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আচমকাই বলেন, উনি (কমলা হ্যারিস) ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলেই জানতাম। তিনি নিজেও ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রচার করেছেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও আমি জানতাম না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ। কারণ সেই পরিচয় সামনে আনেননি। কিন্তু এখন ভোটের আগে উনি কৃষ্ণাঙ্গ হিসাবে পরিচিত হতে চান। তাই আমি ঠিক জানি না, উনি নিজের সম্পর্কে কী বলবেন? উনি ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?
আরও পড়ুন-দেশের ৩০০ ব্যাঙ্কে সাইবার হানা, হয়রানি গ্রাহকদের
কমলাকে বিঁধতে গিয়ে তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হতেই পাল্টা আসরে নেমে পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি উভয় জাতি-সম্প্রদায়কেই সম্মান করি, কিন্তু উনি তো তা করেন না! এতদিন উনি ভারতীয় ছিলেন, এখন হঠাৎ কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে গেলেন। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে অপমানজনক বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কারও অধিকার নেই অন্য কাউকে এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষী কথা বলার, পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার। তবে ট্রাম্প আছেন স্বমেজাজেই। প্রসঙ্গত, কমলা হ্যারিস মার্কিন মুলুকের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতও বটে। তাঁর মা ছিলেন তামিল ও বাবা আফ্রিকান।