প্রতিবেদন : দেশের রফতানিক্ষেত্রের বেহাল দশা তুলে ধরল তৃণমূল। ভারতীয় সামগ্রীর উপর আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর প্রভাবে ভারতের গোটা রফতানি শিল্পই ভেঙে পড়ার মুখে। বিশ্বের বড় দেশগুলির মধ্যে একটি দেশে যেখানে সবথেকে বেশি পরিমাণ দ্রব্য রফতানি করে ভারত, সেটা আমেরিকা। শুল্ক বাড়ানোয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবসায় প্রতিযোগিতা যেমন আরও বাড়বে, তেমনই কার্যত একটি বাজার ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ, ট্রাম্প-মোদি বন্ধুত্ববিচ্ছেদের জেরে ভারতের রফতানি শিল্পই মুখ থুবড়ে পড়বে।
ভারতের বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রকে তুলে ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গয়না শিল্প থেকে অটোমোবাইল সেক্টর এই শুল্কের প্রভাবে ধসে পড়বে। আমেরিকার চাপে ভারতকে রাশিয়ার সস্তার তেল কেনা থেকে সরে আসতে হবে। সেই চাপের মুখে এখনও পর্যন্ত রফতানি নির্ভর শিল্পে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে। বাজার কোন দিকে প্রবাহিত হবে, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষেত্র, যেখানে প্রভাব পড়বে তার হিসাব তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন-জাতীয় পতাকা তৈরিতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
ভারতের গয়না শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে, বিশেষত রত্নখচিত গয়না। কারণ ভারত থেকে এই শিল্পকলা নিয়ে জাহাজ যাওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে। স্বল্প লাভের মুখে থাকা চামড়া শিল্পজাত ও বস্ত্র শিল্প এই শুল্কের কারণে দমবন্ধ অবস্থায় পড়বে। ভারতের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ৩০ শতাংশ রফতানি আমেরিকায় হয়। শুল্কের কারণে সেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ও ওষুধে ভারত ১৭ শতাংশ লোকসানে পড়তে চলেছে। বড় ধাক্কা ভারতের অটোমোবাইল শিল্পে। ৬১ হাজার কোটির লোকসানের সম্ভাবনা শুল্কের ব্যথা পৌঁছবে চা-শিল্পে। এই শিল্প ২০০ কোটি টাকার ধাক্কা খাবে। গোটা দেশের সামুদ্রিক খাদ্যশিল্প ২৪ হাজার কোটির ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে।