‘বাংলাকে অচল করার চেষ্টা অসমর্থনীয়’, সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাকে অচল করার প্রচেষ্টা জারি পদ্ম শিবিরের। আজ নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর ফের কাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিল বিজেপি

Must read

বাংলাকে অচল করার প্রচেষ্টা জারি পদ্ম শিবিরের। আজ নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর ফের কাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিল বিজেপি (BJP)। অর্থাৎ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ধর্মঘট। কিন্তু সেই বনধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”নির্যাতিতা তরুণীর প্রতি যে মর্মান্তিক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার সুবিচার আমরা সকলেই চাই। সমস্ত দায়িত্বভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। এখন সিবিআই এর কাছে ন্যায্য সুবিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু আজ মহানগরীতে নবান্ন অভিযানের নামে বাংলাকে অচল করার যে চেষ্টা হচ্ছে যেটা অসমর্থনীয়। ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ও পড়াশোনা চলছে। কালকের ধর্মঘট মানা হবে না, সচল থাকবে জনজীবন। সরকারি অফিস থেকে দোকানপাট, সব কিছু খোলা থাকবে। কাল পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক থাকবে।”

আরও পড়ুন-‘ভারতের ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করার হার মাত্র ২৬ শতাংশ’ গত ১৫ দিনে দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনার ‘কোলাজ’ করে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেন, ”রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত জনজীবন স্বাভাবিক রাখা হবে। সব কিছু চালু থাকবে। সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ, অবশ্যই সঠিক সময়ে অফিস আসতে হবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করবে। কারও কোনও ক্ষতি হলেও সরকার সেটা দেখবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এটাও সরকারি নির্দেশ। সরকারি বাস চলাচল করবে। বেসরকারি বাসও চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। বাংলাকে সবক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সচল থাকতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি হল পারস্পরিক সৌজন্য ও সম্প্রীতির। সেই কৃষ্টির প্রতি সম্মান জানিয়ে পুলিশ আজ সবরকম সহযোগিতা করেছে। ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।”

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়। এদিন আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায় এই মর্মে জানান, ”শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মজীবী, বৃত্তিজীবী, বৃহৎ সংখ্যক মানুষের জীবন এতে বিপন্ন হচ্ছে। পুজোর কেনাকাটা চলছে যে সমস্ত দোকান-বাজারে, সেগুলো যেন খোলা রাখা হয়। রাজ্য জানিয়েছে, তার জন্য কোনওরকম ক্ষতি হলে দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।”

Latest article