সংবাদদাতা, মগরাহাট: পাওনা টাকা ফেরত নিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন দুই যুবক। প্রথমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয়। খুন করার পর এলাকা ছেড়ে পালায় আততায়ী। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট (Magrahat) থানার মাগুরপুকুরের ঘটনা। নিহত বরুণ চক্রবর্তী (৩৫) ও মলয় মাখাল (৩২)। বরুণ মগরাহাট (Magrahat) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। মলয় একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার। দুজনেই বিবাহিত। দুজনেরই সন্তান আছে। মলয়ের মা ওই প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান। খুনের অভিযোগ জানে আলম নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তার গুদামেই ঘটে এই হত্যালীলা। এলাকার মানুষ জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় চলে পথ-অবরোধ। দুটি গাড়ি ও একটি বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ডায়মন্ডহারবারের এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। দমকল গিয়ে আগুন নেভায়। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে হটিয়ে দেয়। নিহত দুই যুবকের দেহ নিতেও বাধা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত জানে আলম ইমারতি ও ভূষিমালের ব্যবসা করে। ছ মাস আগে মলয় মাখাল তাকে ইমারতি দ্রব্যের জন্য ৮০ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু আলম জিনিস না দিয়ে হয়রান করতে থাকে বলে অভিযোগ। শুক্রবার এ নিয়ে গণ্ডগোল হয়। শনিবার সকালে টাকা ফেরত দেবে বলে কথা দেয় আলম। মলয় বন্ধু বরুণকে নিয়ে ওর গুদামে গেলে সেখানে বচসার পর সরাসরি গুলি চালিয়ে দেয় অভিযুক্ত। খবর পেয়ে বিধায়ক নমিতা সাহাও আসেন গ্রামে। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। জানান, ‘খুনি পুরনো অপরাধী। একসময় চিটফান্ডের কায়দায় বেকার যুবকদের কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ আছে।’