নতুন করে শুরুর অপেক্ষায় দুই দেশ

Must read

তেল আভিভ ও গাজা: সোমবার উৎসবের মেজাজে পণবন্দি সহনাগরিকদের বরণ করে নিল ইজরায়েলের (Israel_Hamas) আমজনতা। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এদিন নিশ্চিত করেছে যে হামাসের পক্ষ থেকে ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসের হাতে দুই দফায় প্রথমে ৭ জন এবং তারপর ১৩ জন জীবিত ইজরায়েলি (Israel_Hamas) পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বহু টালবাহানা কাটিয়ে শেষমেশ শান্তিচুক্তি কার্যকর হওয়ার ফলে দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজা ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণসাহায্য এবার নিরাপদে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মিশরকে সঙ্গে নিয়ে পরোক্ষ আলোচনায় ইজরায়েল ও হামাস সম্মত হওয়ার পরই দুই বছরের এই যুদ্ধের আপাত সমাপ্তি ঘটল। এদিন প্রথম দফায় ৭ জন ও দ্বিতীয় দফায় খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে ১৩ জনকে হস্তান্তর করা হয় বলে ইজরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে। সোমবার প্রথম দফায় হামাসের ডেরা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে ছিলেন ভাই গালি, জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংগ্রেস্ট, অ্যালন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর এবং গাই গিলবোয়া-ডালা। দ্বিতীয় দফার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বার কুফারস্টেইন, এভিয়াতার ডেভিড, ইয়োসেফ-চাহিম ওহানা, সেগেভ কালফন, আভিনাতান ওর, এলকানা বোহবোট, ম্যাক্সিম হারকিন, নিমরড কোহেন, ডেভিড কুনিও, মাতান অ্যাংগ্রেস্ট, এইতান মোর, রম ব্রাসলাবস্কি এবং এরিয়েল কোনিও। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য না থাকলেও মুক্তিপ্রাপ্ত পণবন্দিদের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি) যখন গাজা স্ট্রিপের উত্তরাঞ্চলে হামাসের হেফাজত থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন নেতানিয়াহুর দেশের প্রায় সর্বত্র বিভিন্ন পাবলিক স্ক্রিনিংয়ে সেই দৃশ্য দেখতে থাকা হাজার হাজার ইজরায়েলি উল্লাসে ফেটে পড়েন।

আরও পড়ুন-ফিরবে পুরনো চাকরি, ২৫ অক্টোবর কাউন্সেলিং

টাইমস অফ ইজরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন পণবন্দি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রিম সীমান্ত সংলগ্ন আইডিএফ-এর একটি কেন্দ্রে পৌঁছন, এরপর তাঁরা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। অন্যদিকে, একই উচ্ছ্বাসের ছবি প্যালেস্টাইনে। ইজরায়েলের হাতে বন্দি শতাধিক সহনাগরিকের মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরাও। ট্রাম্প এরই মধ্যে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রস্তাবিত চুক্তি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে তেল আভিভে এসে পৌঁছেছেন। পণবন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত হওয়ার পর এখন গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া ভয়াবহতম যুদ্ধে প্যালেস্টিনীয়  জনপদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার কারণে দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় মানবিক সহায়তার জোয়ার আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এই পণবন্দিদের প্রত্যাবর্তন ইজরায়েলের জন্য একটি যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানল।

Latest article