নয়াদিল্লি : মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দু’বার দেশের রাজধানীতে গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে থাকা দিল্লি পুলিশের অপদার্থতা বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। দিল্লির রোহিণী আদালতের ভিতরে গ্যাংওয়ারের পর এবার ঝারোদা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে চার দুষ্কৃতী পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রাজধানীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এই মুহূর্তে দিল্লির পুুলিশ কমিশনারের পদে রয়েছেন অমিত শাহের আস্থাভাজন অফিসার রাকেশ আস্তানা। দিল্লির নিরাপত্তার গাফিলতি বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এই পুলিশকর্তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টেও দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে দিল্লি পুলিশ। ভয়ঙ্কর ওই দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং তদন্তের ক্ষেত্রেও পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে ভর্ৎসনা করে আদালত।
আরও পড়ুন: জেলে গ্যাংওয়ার, মৃত্যু বেড়ে ১১৬
বৃহস্পতিবার ভোরে ঝারোদা এলাকায় চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। আগে থেকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর চার দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিতে যেভাবে প্রকাশ্যে গুলিবৃষ্টি হল তাতে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ, রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে কড়া সমালোচনায় বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, এর আগে রোহিণী আদালতে গুলি চালিয়েছিল আইনজীবীর ছদ্মবেশে থাকা দুষ্কৃতীরা। পুলিশের হেফাজতে থাকা গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগি-সহ দুই আক্রমণকারীর মৃত্যু হয়।