প্রতিবেদন : রাজভবনের (Raj Bhavan) মাতব্বরিতে নবনির্বাচিত দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথগ্রহণ নিয়ে জট খুলল না। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় শপথ গ্রহণের দাবিতে ধরনা জারি রাখলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। এরই মধ্যে এদিন নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকের মাঝেই দু’জনের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের এই আচরণের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতিকে সবটা জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে শপথ-জট অব্যাহত। মানুষের রায়ে নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেটে দুই বিধায়ক বিধানসভায় যাবেন। সেখানে রাজভবন(Raj Bhavan) কেন মাতব্বরি করতে আসছে! সম্পূর্ণ বিকৃত মানসিকতা থেকে রাজ্যপাল তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথে বাধা দিচ্ছেন। তিনি সৌজন্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন। উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বরানগর ও ভগবানগোলার দুই প্রতিনিধি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। কিন্তু ফল প্রকাশের পর ২৩ দিন কেটে গেলেও এখনও বিধানসভায় শপথ নিতে পারলেন না তাঁরা। এই নিয়ে এদিন রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেতার পরেও এক মাস ধরে আমার বিধায়কেরা বসে আছেন। রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচিত করেছে। ওঁর কী অধিকার তাঁদের শপথ নিতে না দেওয়ার? উনি হয় স্পিকারকে এই অধিকার দিন, নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় যান। ওঁর রাজভবনে কেন সকলে যাবে? এরপরেই সাম্প্রতিক কালে রাজভবনকে কেন্দ্র করে ওঠা কিছু অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। এই বিলম্বের জন্য তিনি সরাসরি রাজ্যপালকে দায়ী করার পাশাপাশি দলের বিধায়কদেরও সায়ন্তিকাদের অবস্থানে গিয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নিটে ব্যাপক দুর্নীতি, এবার মানতে বাধ্য হলেন রাষ্ট্রপতিও