প্রতিবেদন : রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সাহায্যে বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে যুক্ত সন্দেহে ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁদের সক্রিয় সাহায্য ছাড়া এই গ্রেফতারি সম্ভব হত না। এর জন্য রাজ্য পুলিশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, শাবাশি দিতেই হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে তারা কাঁথিতে এল, কাদের মদতে এল, ওখানে কোন পরিবার থাকে, বাংলার বদনাম করতে কেউ তাদের কাঁথিতে পাঠাল কি না— সব কিছুরই তদন্ত হওয়া দরকার।
দুই জঙ্গি ধরা পড়ার পর শুক্রবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা এ-নিয়ে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। কুণাল বলেন, মনে রাখতে হবে একা এনআইএ ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেনি। এটা ছিল এনআইএ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযান। এনআইএ খবর দিয়েছিল রাজ্য পুলিশকে। খবর পাওয়ামাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে রাজ্য পুলিশ যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলে। তারপরই যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মনে রাখতে হবে এসব জঙ্গিদের সম্পর্কে এবং জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কে খোঁজখবর রাখাটা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ। গোটা দেশে কোথায় কী হচ্ছে সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের। বেঙ্গালুরুতে তো আর রাজ্য পুলিশ নেই! তাই তথ্যটা তাদের কাছ থেকে আসবে, এটাই স্বাভাবিক। তারপর রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে গোটা অপারেশন সাজিয়ে নিয়েছে। এর জন্য তাদের সাবাশি দিতেই হবে। কুণাল বলেন, এটা একটা অপরাধ। এসব নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। এর সঙ্গে জঙ্গিরা কেন পশ্চিমবঙ্গে আসছে এর কোনও যোগ নেই। প্রশ্ন হল, কীভাবে এতগুলো দিন তারা কাঁথিতে লুকিয়ে ছিল? পিছনে কাদের যোগ রয়েছে? কোন কানেকশন? কীভাবে আশ্রয় পেল? কারা দিল? কাঁথিতে কোন পরিবার থাকে সবাই জানে। বাংলার বদনাম করতে কেউ তাদের এ-রাজ্যে পাঠাল কিনা সেটারও তদন্ত হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বিজেপি বলছে, তারা কীভাবে এ-রাজ্যে এল? আরে বেঙ্গালুরুর পাশে তো পশ্চিবমঙ্গ নয়! অন্য রাজ্য হয়ে এসেছে। সেই রাজ্য ধরেনি কেন? তখন এনআইএ ধরেনি কেন? বেঙ্গালুরুতে অপরাধ করে তারা একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিল। এটা তো রাজ্য পুলিশের জানার কথা নয়। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি রয়েছে। এটা তাদেরই কাজ। তারা তথ্য দিয়েছে। তারপর রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করেছে। এটা পুরোপুরি আমাদের পুলিশের কৃতিত্ব।