প্রতিবেদন : বুধবার বেলার দিকে দিনের ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ (Sealdah Train Accident) স্টেশনের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা। স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দুটি যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। বিস্ময়কর ভাবে পাশাপাশি লাইনে থাকা দুটি ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার জেরে একটি ট্রেনের সামনে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। দুটি ট্রেনেরই গতি অত্যন্ত কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা (Sealdah Train Accident) এড়ানো গিয়েছে বলেই মত রেলকর্তাদের। ঘটনায় একজন রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল। তবে এই ঘটনায় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
জোর রক্ষা, শিয়ালদহে পাশাপাশি দুই ট্রেনের ধাক্কাকীভাবে দুর্ঘটনা : রেলের তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার বারোটার কিছু আগে যে সময় ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের ভিড় থাকে সেই সময়েই শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। আপ রানাঘাট লোকাল শিয়ালদহ স্টেশন ছেড়ে বের হচ্ছিল। ট্রেনে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। আর একটি ট্রেনও প্রায় একই সময়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে কারশেডের দিক যাচ্ছিল। সেই ট্রেনে কোনও যাত্রী ছিল না। পাশাপাশি দুটি ট্রেন চলছিল। এই সময়ই কারশেডমুখী ট্রেনটির চাকা খুলে গিয়ে পাশের লাইনে চলে যায়। তাতেই ট্রেন দুটির ধাক্কা লাগে। ট্রেন দুটি পরস্পরের গায়ে লেগে যায়। এই ভাবে দুটি ট্রেন কিছুদূর এগিয়ে যায়। তারপর চালকরা ট্রেন দুটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। তবে ট্রেন দুটিতে সেরকম যাত্রী না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে রেলকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনায় যাত্রীদের কারও আঘাত লাগেনি। ট্রেন থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নামিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকারের মেয়াদ বাড়ল, ২৬ ডিসেম্বরও ছুটি
যাত্রীদের চরম ভোগান্তি : দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদহ মেন শাখায় প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের মতো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এই দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। মাঝপথে দুটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেশ কিছুক্ষণ কোনও লাইনেই ট্রেন চলেনি। পরে ২, ৩ ও ৪ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে বহু যাত্রীই শিয়ালদহ স্টেশনের দিকে হাঁটা দেন। যে লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে ট্রেন সরানোর পরই স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
রেলের ব্যাখ্যা : দুর্ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে কারশেডগামী ট্রেনের চালককে। প্রাথমিক তদন্তের পর রেল জানিয়েছে, সিগন্যালিংয়ে কোনও ত্রুটি ছিল না। কারশেডগামী ট্রেনের চালককে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত গিয়ে থামতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কারশেডগামী ট্রেনটিকে এগিয়ে নিয়ে যান চালক। নির্দেশ না মানার জেরেই দুর্ঘটনা বলেই দাবি করেছে রেল।